ঢাকা, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » পাশে দাঁড়াই » বিস্তারিত

বাঁচতে চায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হাদী ইয়াকুব

২০২৪ এপ্রিল ২৩ ১৫:১৬:০৪
বাঁচতে চায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হাদী ইয়াকুব

তন্ময় উদ্দৌলা, আলফাডাঙ্গা : শত স্বপ্ন নিয়ে একজন মানুষের জীবন এগিয়ে যায়। নিজের স্বপ্নের সাথে কাছের স্বজনদের স্বপ্নও এগিয়ে যেতে থাকে তাকে ঘিরে। কিন্তু কখনো কখনো ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের শিকার হয় মানুষ। হানা দেয় অপ্রত্যাশিত ব্যাধি। আর তখনই বেঁচে থাকার চরম আকাঙ্ক্ষা মানুষকে আঁকড়ে ধরে। কিন্তু দুরারোগ্য ব্যাধির কাছে মানুষ বড্ড অসহায়। থেমে যায় জীবনের স্বাভাবিক গতি, থেমে যায় স্বপ্ন। একজন মানুষের নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার সাথেসাথে ভেঙে পড়ে পরিবার, অসহায় হয়ে পড়ে বাবা-মা, মলিন হয়ে যায় তার সন্তানদের রঙিন স্বপ্নগুলোও।

আমদের একটু সদিচ্ছা অনেকের এই চরম সংকটে আশার আলো যোগাতে পারে। মানুষ হয়ে মানুষের জন্য এগিয়ে আসতে পারি আমরা, অংশ নিতে পারি মানবিক কাজে। চিন্তায়-ভাবনায় কখনো কখনো মানুষের কল্যাণে ভালো কাজ করার সিদ্ধান্ত নিই। হয়তো জীবনের ব্যস্ততায় ও বাস্তবতায় করা হয়ে উঠেনা। মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত মোঃ হাদী ইয়াকুব (৪৫) এর পাশে দাঁড়ানো হতে পারে সেরকমের একটি সুযোগ। বড় সমস্যাগুলো সমাধান হয়তো আমরা একা করতে পারিনা কিন্তু আমরা ইচ্ছা করলেই ছোট্ট পরিসরে হাত বাড়িয়ে দিতে পারি।

আমাদের ছোট্ট ছোট্ট মানবিক হাত অনেকের জন্য হয়ে উঠতে পারে সংকটের বিশাল সমুদ্রে বেঁচে থাকার খুঁটি। অসহায় মানুষের মুখের হাসি জগতের সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্যগুলোর মধ্যে একটি। কারো প্রতি আমাদের ছোট্ট সাহায্যের হাত বাঁচিয়ে দিতে পারে কারো জীবন, বাঁচিয়ে দিতে পারে কারো স্বপ্ন, আর সেইসাথে বেঁচে যায় মানবতা। দিনশেষে মানুষ মানুষের জন্য।

অবুঝ এক ছেলে ও এক মেয়ের অসহায় ঘরে স্ত্রী ও অসুস্থ মা। হাদী ইয়াকুব নিজের কোন জমি-জমা নেই তিনি নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা তালতলা মাদ্রাসায় বাবুর্চি চাকরির মাধ্যমে কোন রকম সংসার চালিয়ে যাচ্ছিল। একদিন হঠাৎ এই পরিবারে নেমে আসল ঘোর অন্ধকার অমানিশা। এই পরিবারের একমাত্র অবলম্বন (৪৫) বছর বয়সী হাদী ইয়াকুবের শরীরে কখন যে বাসা বেঁধেছে মরণব্যাধি ক্যান্সার তা সে বুঝতে পারেনি।

গত পাঁচ মাস পূর্বে ধরা পড়ে এই দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সার। গ্রামবাসী ও নিকটতম আত্বীয়দের সহায়তায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আসে। বর্তমানে তিনি পিজি বঙ্গবন্ধু মেডিকেল এ ভর্তি রয়েছে। ডাক্তার জানিয়েছেন তার চিকিৎসা সম্পূর্ণ করতে ৮ থেকে ১০ লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন যা হাদী ইয়াকুবের পরিবারের পক্ষে সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। ইতোমধ্যে ধার-দেনা এবং গ্রামবাসী ও নিকট আত্বীয়দের সহায়তায় প্রায় ১ লক্ষাধিক টাকা চিকিৎসা বাবদ খরচ করেছে।

এই পরিস্থিতিতে যেখানে তিনবেলা খাবারের ব্যবস্থা করতে পরিবারটি হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে চিকিৎসা সেবায় এই বিশাল অংকের টাকা বহন এই অসহায় পরিবারটির পক্ষে সম্পূর্ণভাবে অসম্ভব। তাহলে কি চিকিৎসার অভাবে থেমে যাবে হাদী ইয়াকুব এর জীবন প্রদীপ? অবুঝ দুটি শিশু কি হারাবে তাদের বাবাকে? বৃদ্ধ মা কি হারাবে তার বুকেরধন, সোনা মানিকরে? অল্প বয়সী এক বোন কি বিধোবা হয়ে যাবে আমাদেরই চোখের সামনে? আমাদের কি কিছুই করার নাই?

কোন মানুষের জীবন প্রদীপ যদি টাকার অভাবে নিভে যেতে চায়, তার দেখা স্বপ্নগুলো যদি ধিরে ধিরে ফ্যাকাসে হয়ে যায়, আনন্দ যদি পরিণত হয় বিষাদে, তা জেনে মানুষ হিসেবে আমরাও ভাল থাকতে পারিনা। আসুন আমরা যে যতটুকু পারি মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই। হয়তো আমাদের সামান্য অবদানে অবুঝ শিশুগুলো তাদের বাবাকে ফিরে পাবে, বৃদ্ধ -মা ফিরে পাবে তাঁদের ছেলেকে, পরিবার ফিরে পাবে স্বস্তি।

মোঃ হাদী ইয়াকুবের সাথে যোগাযোগ ও সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা- নামঃ হাদী ইয়াকুব (৪৫), পিতাঃ মৃত্যু জহুরুল হক, গ্রামঃ রুদ্রবানা
ডাকঘরঃ বেলবানা, থানাঃ আলফাডাঙ্গা, জেলাঃ ফরিদপুর, মোবাইলঃ ০১৯৬৮-৬০০১২০।

অথবা, হাদী ইয়াকুব এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন ডাঃ মাওঃ মহিউদ্দিন খান ০১৭১৫-৩৬২২৪৪, বিকাশ পার্সোনাল হাদী ইয়াকুব ০১৯৬৮-৭০০১২০, নগদ ০১৯২৩-৮৫৬১০৩, সঞ্চয়ি হিসাব নং- (২০৫০২৫৯০২০০৭৮০৬০৬), ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, শ্যামপুর শাখা (পোস্ত খোলা)।

(টিইউ/এএস/এপ্রিল ২৩, ২০২৪)