ঢাকা, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১

প্রচ্ছদ » ফিচার » বিস্তারিত

টাঙ্গাইলে দাবদাহে দীপ্তি ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া, জারুল ও সোনালু ফুল

২০২৪ মে ০৫ ১৮:০৬:৫৬
টাঙ্গাইলে দাবদাহে দীপ্তি ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া, জারুল ও সোনালু ফুল

স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল : গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহে যখন অতিষ্ঠ জনজীবন ঠিক তখনই বাহারি ফুলের পসরা সাজিয়েছে প্রকৃতি। টাঙ্গাইলে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, সড়ক-মহাসড়কে দুপাশে কৃষ্ণচূড়া, জারুল আর সোনালু ফুল দীপ্তি ছড়াচ্ছে। যে দিকে দুচোখ যায় সেদিকেই বাহারি ফুলের সমারোহ। কৃষ্ণচূড়ার সাথে জারুল আর সোনালু ফুলের সৌন্দর্য প্রকৃতিতে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। প্রচণ্ড গরমে স্বস্তি দিচ্ছে মৃদু বাতাস আর মনোমুগ্ধকর কৃষ্ণচূড়া, জারুল আর সোনালু গাছের ছায়া।

কৃষ্ণচূড়া

বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি আর বহু আন্দোলনের পটভূমির সাথে কৃষ্ণচূড়ার নিবিড় সম্পর্ক। বাংলা সাহিত্যের ছড়া-কবিতা-গানে উপমা হিসেবে নানা রুপে প্রকাশ পেয়েছে কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্যের বর্ণনা। গ্রীষ্মের শুরুতে প্রচন্ড তাপদাহেও একটু মন আন্দোলিত করে উঠে, প্রকৃতিও যেন প্রাণ ফিরে পায় কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্যে। রুক্ষতা ছাপিয়ে কৃষ্ণচূড়া নিজেকে উজার করে আপন মহিমায়। এই গ্রীষ্মে শহর কিবা গ্রামের রুক্ষ প্রকৃতিকে ছাপিয়ে নতুন রুপে প্রকৃতির পরিচয় মেলে ধরে আমাদের চারপাশে দীপ্তি ছড়ানো কৃষ্ণচূড়া। সবুজ চিরল পাতার ফাঁকে গাঢ় লাল রঙে আগুন জ্বেলে দিয়েছে কৃষ্ণচূড়া। গ্রীষ্মের ঘামঝরা দিনে কৃষ্ণচূড়ার ছায়া যেন প্রশান্তি এনে দেয় ক্লান্ত, অবসন্ন পথিকের মনে। তাপদাহে ওষ্ঠাগত পথিক পুলকিত নয়নে উপভোগ করেন এর সৌন্দর্য। পথচারীরা একবার হলেও থমকে দাঁড়ায়, কৃষ্ণচূড়ার রুপের ছটায় মনকে পুড়িয়ে নেয়।

কৃষ্ণচূড়া উদ্ভিদ উচ্চতায় সাধারণত ১২ থেকে ১৫ মিটার হলেও শাখা-পল্লবে এটির ব্যাপ্তি বেশ প্রশ্বস্ত। ফুলগুলো বড় চারটি পাপড়ি যুক্ত। মুকুল ধরার কিছু দিনের মধ্যে পুরো গাছ ফুলে ফুলে ভরে যায়। কৃষ্ণচূড়ার ফুলগুলো বড় ৭ থেকে ৮টি পাপড়িযুক্ত গাঢ় লাল। ফুলের ভেতরের অংশ হালকা হলুদ ও রক্তিম হয়ে থাকে।

পাপড়িগুলো প্রায় ৮ সেন্টিমিটারের মতো লম্বা হতে পারে। কৃষ্ণচূড়া জটিল পত্র বিশিষ্ট এবং উজ্জ্বল সবুজ। প্রতিটি পাতা ৩০-৫০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ২০-৪০ টি উপপত্র বিশিষ্ট। শুষ্ক অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে কৃষ্ণচূড়ার পাতা ঝরে গেলেও, নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে এটি চিরসবুজ বাংলাদেশে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত।

কবিগুরু রবি ঠাকুরের ভাষায়- ‘গন্ধে উদাস হওয়ার মতো উড়ে তোমার উত্তরী কর্ণে তোমার কৃষ্ণচূড়ার মঞ্জরি’।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের দুই লাইন মনোমুগ্ধকর গানে উপলব্ধি সৌন্দর্য। ‘কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জুরি কর্ণে, আমি ভুবন ভুলাতে আসি গন্ধে ও বর্ণে’। ‘রেশমি চুড়ির তালে কৃষ্ণচূড়ার ডালে/পিউ কাঁহা পিউ কাঁহা ডেকে ওঠে পাপিয়া।’

তবে ক্রমে ক্রমে বাড়ছে কৃষ্ণচূড়া গাছের কদর। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শোভাবর্ধনে কৃষ্ণচূড়া গাছ অতুলনীয়। তাই সৌন্দর্য্যর পাশাপাশি মানুষ ও প্রকৃতির স্বার্থেই বেশি করে কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগানোর আহ্বান জানান প্রকৃতিপ্রেমীরা।

কৃষ্ণচূড়ার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিখ রেজিয়া। এটি ফাবাসিয়ি পরিবারের অন্তর্গত একটি বৃক্ষ। ‘গুলমোহর’ নামেও এর পরিচিতি রয়েছে। কৃষ্ণচূড়া ফুলগুলো গাঢ় লাল রঙের হয়। ফুলের ভেতরের অংশ হালকা হলুদ ও রক্তিম হয়।

জারুল শুধু সৌন্দর্য বিলায় না, রয়েছে ঔষধি গুণ

সবুজ-শ্যামল আমাদের এ বাংলা। দু মাস পরপর ঋতু বদল হয়। ঋতুরাজ বসন্তের পরে আসে গ্রীষ্ম। আর সবুজ শ্যামল আমাদের দেশে ঋতুবৈচিত্র্যের পরিবর্তন যে সৌন্দর্য নিয়ে আসে, তা এই প্রকৃতিকে ঘিরেই, এ সবুজকে ঘিরেই। আর এই প্রকৃতিকে অপরূপ সাজে সাজিয়ে তোলে নানান রকম ফুল। গ্রীষ্মে ফোটা তেমনই একটি অন্যতম ফুল জারুল।

জারুল বেড়ে উঠে অযত্নে আর অবহেলায়। রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত জমি বা আগাছা বেষ্টিত নির্জন কোন স্থানে। জারুল ফোটে আপন মহিমায়। এর কোন যত্ন বা পরিচর্যার দরকার হয় না। প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করেই জারুল তার মুগ্ধতা ছড়ায়।

জারুলকে বলা হয় বাংলার চেরি।দু চোখ ভরে উঠে তার অপরূপ রূপ দেখে। গ্রীষ্মের দাবদাহে ধরা যখন উষ্ণ হয়ে ওঠে তখন সেই উষ্ণতাকে ম্লান করে দিয়ে হেসে ওঠে জারুল । জারুলের রঙে মুগ্ধ হয়ে কবি আহসান হাবিব তার স্বদেশ কবিতায় লিখেছেন:-

‘মনের মধ্যে যখন খুশি
এই ছবিটি আঁকি,
এক পাশে তার জারুল গাছে দুটি হলুদ পাখি।’

গাঢ় সবুজ পাতার মাঝে মাথা উঁচু করে থাকে থোকায় থোকায় জারুল ফুল। পুরো গাছ ভরে যায় ফুলে ফুলে। গাঢ় বেগুনি ও গোলাপি জারুলে চোখ আটকে যায়। মোহনীয় সৌন্দর্যের এ ফুল দেখে চলতে চলতে থমকে যায় পথচারী।

জারুল গ্রীষ্মকালে ফোটা শুরু হলেও শরৎকাল পর্যন্ত এর ব্যাপ্তি। এটি পাতা ঝরা বৃক্ষ। শীতকালে পাতা ঝরে যায়। বসন্তকালে নতুন পাতা গজায়। গ্রীষ্মকালে ফুল আসা শুরু হয়। গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ এই তিন ঋতুকে রাঙিয়ে দেয় জারুল। সুশোভিত এই জারুলের আদি নিবাস শ্রীলঙ্কায় হলেও এটি ভারতীয় উপমহাদেশের নিজস্ব বৃক্ষ। বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও চীন, মালয়েশিয়া প্রভৃতি অঞ্চলে জারুলগাছের দেখা মেলে।

জারুল ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম লেজারস্ট্রমিয়া স্পেসিওসা। নামটির প্রথম অংশ এসেছে সুইডেনের অন্যতম তরু অনুরাগী লেজারস্ট্রমের নাম থেকে। স্পেসিওসা লাতিন শব্দ, যার অর্থ সুন্দর।

জারুলের লেজারস্ট্রমিয়া ইনডিকা নামে ছোট একটি প্রজাতি রয়েছে, যা আমাদের দেশের সিলেট ও কিশোরগঞ্জ এলাকায় চোখে পড়ে।

‘জারুল’ ফুলকে অনেকেই কম-বেশি চিনে থাকেন। কিন্তু ‘ছোট জারুল’ ফুলটিকে তেমনভাবে অনেকেই চেনেন না। আর গাছটিকেও দেখা যায় না তেমন। ছোট জারুলের অনেক নাম বিচিত্র রয়েছে।

যেমন: ‘তিলা জারুল’, ‘জলধর’, ‘তিনিশ’, ‘চক্রী, প্রভৃতি। তবে আশ্চর্যের বিষয় – অপূর্ব সুন্দর এই ফুলটিকে কেউ কেউ আবার ‘ফুরুশ’ নামক এমন উদ্ভট শব্দেও উল্লেখ করে থাকেন!

‘ছোট জারুল’ ফুলের ইংরেজি নাম ইন্ডিয়ান লিলাক ( Indian Lilac) এবং বৈজ্ঞানিক নাম - লাজাস্ট্রইমিয়া ইন্ডিকা ( Lagerstroemia indica)।

জারুলগাছ মধ্যমাকৃতির পত্রমোচী বৃক্ষ। ম্লানধূসর মসৃণ কা-বিশিষ্ট জারুল ২০ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। এর পাতা বড়, পুরু ও গাঢ় সবুজ। ৬-৮ ইঞ্চি দীর্ঘ, লম্বাটে ও মসৃণ। এর পাতার পিঠের রঙ ঈষৎ ম্লান। গাছের শাখা-প্রশাখা, ডালপালা, খুবই শক্ত। ফুলের বোটাও শক্ত। মঞ্জরি অনিয়ত, শাখায়তি, বহুপৌষ্পিক ও প্রান্তিক। জারুলের ফুলের বেগুনি বর্ণ যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি শোভনীয় তার পাঁপড়ির নমনীয় কোমলতা। জারুলের বেগুনি ও গোলাপি রঙের ফুল থাকলেও আমাদের দেশে বেগুনি রঙ বেশি দেখা যায়। অনেক সময় সাদার কাছাকাছি এসে পৌঁছায় কিছু ফুলের রঙ। জারুল ফুলগুলো থাকে শাখার ডগায়, পাতার ওপরের স্তরে। প্রতিটি ফুলের থাকে ছটি করে পাপড়ি, মাঝখানে পুংকেশরের সঙ্গে যুক্ত হলুদ পরাগকোষ। থোকায় থোকায় ফোটে ফুল। বোটার গোড়া থেকে ফুল ফোটা শুরু হয়ে ধীরে ধীরে ডগায় যায়। ফুল শেষে গাছে বীজ হয়। বীজ দেখতে গোলাকার ও কালো। জারুল বীজের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে।

বরেণ্য উদ্ভিদবিজ্ঞানী, প্রকৃতি গবেষক এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী ড. নওয়াজেশ আহমদ এ ফুল সম্পর্কে লিখেছেন, ‘ছোট জারুল ঔষধিগুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। উষ্ণবীর্য, কফ এবং রক্ত অতিসারনাশক। এছাড়াও মলসংগ্রাহক, দাহজনক এবং শ্রেষ্ঠ বায়ুরোগনাশক। এর পাতা ও ফলের মধ্যে রয়েছে ইলাজিটানিস, এলামাইন এবং মেনথালিন। ’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘পুরোনো পাতায় আছে হাইপোগ্লাইকেমিক, যা অনেকটা ইনসুলিনের মতো কাজ করে থাকে। এর পাতার রস ডায়াবেটিস রোগের উপকারী বলে উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে। ’

ঔষধি গুণে ভরা সোনালু ফুল

গ্রীষ্মের তাপদাহে প্রাণীকূলের প্রাণ যখন ওষ্ঠাগত ঠিক তখনি প্রকৃতিকে অপরূপ সৌন্দর্য্যে সাজিয়ে রেখেছে সোনালু ফুল। নারীর কানের ঝুমকা দুলের মত হালকা সবুজ পাতা ভেদ করে দক্ষিণা বাতাসে দুলছে হলুদ রঙের সোনালু। সোনাঝরা সোনালু ফুলের দিকে তাকালে তীব্র দাবদাহেও মনের ভীতর বহে শীতল বাতাস। মনে নেমে আসে প্রশান্তি। টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন পথে প্রান্তরে ও বাড়ির আঙ্গিনায় শোভা বর্ধন করছে এই সোনালু ফুল। প্রচন্ড গরমে যখন প্রাণ ওষ্ঠাগত তখন পথিকের মনে একটু প্রশান্তি দেয় সোনালু। সোনালুর রূপের আগুনে জ্বলে উঠে পথিকের মন। তাৎক্ষণিক এই প্রেমকে বাঁচিয়ে তুলতে, রূপে মুগ্ধ হয়ে ছবি তুলতে ভুল করেন না পথচারী।

গ্রামবাংলায় এই সোনালু ফুল সোনালি, সোনাইল, বান্দরলাঠি ইত্যাদি নামে পরিচিত। পূর্ব এশিয়া থেকে আগত এই ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম ক্যাশিয়া ফিস্টুলা। ইংরেজিতে একে গোল্ডেন শাওয়ার বলা হয়।

সোনালুর রূপের ছটা পড়েছে সাহিত্য পাড়ায়ও। মহাকবি কালিদাসের ‘মেঘদূত’ কিংবা ব্যাসের ‘ভগবত’ সবখানেই এই ফুলের গুণকীর্তন করা হয়েছে।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই ফুলের নাম দিয়েছিলেন অমলতাস। ইংরেজি নাম গোল্ডেন শাওয়ার ট্রি। হাজার বছর আগেও এ গাছ আমাদের উপমহাদেশে ছিল। এ গাছের বৈশিষ্ট্য হলো ঝাড় লণ্ঠনের মতো দীর্ঘ মঞ্জরি এবং উজ্জ্বল হলুদ ফুল। এ গাছের আদি নিবাস হলো ভারত, মিয়ানমার ও বাংলাদেশ।

জানা যায়, সোনালুর রয়েছে নানাবিধ ঔষুধীগুণ। সোনালু গাছের পাতা ও বাকল ভেষজ গুণ সমৃদ্ধ। যা ডায়রিয়া ও বহুমূত্র রোগে ব্যবহৃত হয়।

শোভাবর্ধক উদ্ভিদ হিসেবে এর পরিচিতি থাকলেও এর ঔষধি গুনাগুণ অনেকেরই অজানা। আয়ুর্বেদিক, ইউনানি এবং চাইনিজ ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনে এই উদ্ভিদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। পাতা জীবাণুনাশকের জন্য খুবই প্রসিদ্ধ। বিভিন্ন চর্মরোগ, ক্ষত শুকাতে, শরীরের ইনফেকশন রোধে, কীটপতঙ্গের কামড় ও চামড়ায় জ্বালা-পোড়া বন্ধ করতে, গ্যাস্ট্রিক, এজমা ও ডায়রিয়া রোধে এর পাতার রস সেবন, পাতা রান্না করে ও বাহ্যিকভাবে পাতার রস ব্যাবহার করা হয়। টনসিলের সমস্যায় ফুলা কমাতে এই উদ্ভিদের পাতা গরম করে ছেক দেওয়া হয়।

ফুল শাকের মতন রান্না করে খাওয়া হয়। ফুলের এন্টি-ফাংগাল(Ringworm রোগ) ও এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুনাগুণ রয়েছে।

এর বীজ এন্টি-ক্যান্সার ও এন্টি-টিউমারের জন্য খুবই জনপ্রিয়। কসমেটিকস ইন্ড্রাস্টিতে রূপ ধরে(Anti-ageing) রাখার জন্য এর বীজ ব্যাবহার করা হয়। এর বীজ থেকে প্রাপ্ত ঘাম খাবারের গুনাগুণ, সেলফ-লাইফ (Shelf life) বৃদ্ধি ও খাবার প্রিজারভেশনের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

বিভিন্ন ফ্লু জনিত জ্বর ও ঠাণ্ডার জন্য এর শেকড় খাওয়া হয়। সোনালু কাঠের রং টকটকে লাল। এর কাঠ ও অনেক মজবুত।ঢেঁকি,সাঁকো, বাড়িঘর তৈরি ও জ্বালানি হিসেবে এর কাঠ ব্যাপক সমাদৃত।

(এসএম/এসপি/মে ০৫, ২০২৪)