ঢাকা, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

প্রচ্ছদ » মুক্তচিন্তা » বিস্তারিত

কোটা: শহীদ ও সম্ভ্রম হারানো পরিবারের স্বজনদের জন্যও রাখেন

২০২৪ জুলাই ০৭ ১৬:২১:০৫
কোটা: শহীদ ও সম্ভ্রম হারানো পরিবারের স্বজনদের জন্যও রাখেন

আবদুল হামিদ মাহবুব


ছাত্ররা ‘কোটা’ নিয়ে রাস্তায় আন্দোলন করছে। কোটা বাতিলের এই আন্দোলন দ্বিতীয় দফা। প্রথম দফা ছাত্রদের লাগাতার আন্দোলনের মুখে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে ২০১৮ সালে কোটা প্রথা পুরোপুরি বিলোপ করেছিলো। সম্প্রতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের একটি রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট সরকারের সেই প্রজ্ঞাপন বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন। এর ফলে কোটা আবারও বহাল হয়ে গেছে। এর প্রেক্ষিতেই কোটা নিয়ে ছাত্রদের দ্বিতীয় দফা আন্দোলন দানা বেঁধেছে।

কোটাতে সরকারি চাকুরির ৩০ শতাংশ বরাদ্দ রয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি নাতনিদের জন্য। এর বাইরে ১০ শতাংশ নারী, ১০ শতাংশ জেলা, ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী এবং ১ শতাংশ প্রতিবন্ধীদের জন্য রয়েছে।

আমরা এই লেখার বিষয় ‘কোটা’ নিয়ে নয়। আমার বিষয়টি স্বাধীনতা অর্জনে মুক্তিযোদ্ধদের যেমন অবদান আছে, ঠিক তেমনি মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী ও রাজাকারদের হাতে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, সম্ভ্রম দিয়েছেনে তাঁদের ত্যাগও কম নয়। লেখাটি সেই বিষয় নিয়ে।

কোটা নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে বক্তব্য শুনতে শুনতে আর লেখালেখি পড়তে পড়তে আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছিলাম তিনটি লাইন। লাইনগুলো ছিলো; ‘মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ হয়েছেন। ২ লাখ সম্ভ্রম দিয়েছেন। কোটা রাখলে শহীদ ও সম্ভ্রম হারানো পরিবারের স্বজনদের জন্যও রাখেন।’

আমার এই ছোট পোস্টে অনেকেই অনেক ধরণের মন্তব্য করছেন। কিন্তু একজন পোস্টে কোনো মন্তব্য না করে সরাসরি আমার মোবাইলে কল দিয়ে এবিষয়ে কথা বললেন। অর্ধঘন্টা উপরে তিনি কথা বলেছেন। শেষদিকে তিনি ধৈর্যহারা হয়ে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। যিনি কথা বলেছেন তিনি আমার পূর্ব পরিচিত, বিদেশে স্থায়ী ভাবে বসবাস করেন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার মুক্তিযোদ্ধা সনদ রয়েছে। ভাতাও পান। ১৯৭১ সালে তিনি ভারতে গিয়েছিলেন। সেখানে সংক্ষিপ্ত ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি গ্রুপের সাথে দেশের ভিতরে প্রবেশ করেন।

তাদের কাজ ছিলো দেশের অভ্যন্তরে ‘গেরিলা যুদ্ধ’ করে পাকিস্তনী হানাদার বাহিনীকে ব্যতিব্যস্ত রাখা। এই বীর মুক্তিযোদ্ধা দেশে ভিতরে ঢুকে মা বাবা ও তার ভাইদের দেখার জন্য তিনি নিজ বাড়িতে চলে আসেন। তখন পরিবারের লোকজনের চাপে তিনি পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী কর্তৃক গঠিত শান্তি কমিটির কনভেনারের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পন করেন। তার এই আত্মসমর্পনের বিষয়ে তার ব্যাখ্যা হচ্ছে, ‘এটা গেরিলা অপারেশনের কৌশল। এভাবে আমরা শত শত আত্মসমর্পণ করে শান্তি কমিটির কাছ থেকে ‘ডান্ডিকার্ড’ (আইডেনডিটি কার্ড) সংগ্রহ করি। ডান্ডিকার্ডের বলে আমরা অবাধে চলাচল করতে পেরেছি। সুযোগ পেলেই গেরিলা অপারেশন চালিয়েছি।’

আমার এই পরিচিতজন, আমার ফেসবুক পোস্টে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তার বক্তব্য হচ্ছে; ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা আছে। সেই তালিকা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত করা সম্ভব। তাদের সনদের নামধাম ধরে তাদের সন্তান ও নাতি নাতনিদের সনাক্ত করা যাবে। কিন্তু গণহত্যার শহীদদের তো চিহ্নিত করা সম্ভব নয়। যারা সম্ভ্রম হারিয়েছেন তাদের কোনো তালিকা কখনো করা হয়নি। কি ভাবে শহীদ ও সম্ভ্রমহারাদের স্বজনদের কোটা আওতায় আনা যাবে।?’

তার ধারণা আমি এমন কথা লিখে উদ্ভট কাণ্ড ঘটিয়েছি। আমার এই ‘তিন লাইন’ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান সন্ততিদের কোটার আওতায় যাতে রাখা না হয় তার জন্য একটি প্যাঁচ লাগানো বিষয়ের উদ্ভব ঘটাবে। আমি তাকে বললাম, ‘সত্যি কি আপনার তাই মনে হয়? আমি সেটা মনে করি না। আমি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণহত্যার শহীদ, সম্ভ্রম হারানো কন্যা-জায়া-জননী, সকলের ত্যাগের মূল্যায়নের জন্য কথাটা তুলেছি।’

তিনিই আমাকে প্রশ্ন করলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে ত্যাগ স্বীকার করা সবাইকে মূল্যায়নের জন্য এককাতারে আনা স্বাধীনতার এই ৫৩ বছর পর কি করে সম্ভব?’ আমি বলি, ‘এক কাতার নয়, যার যে কাতার হবে, সে সেখানেই থাকবে। আর সম্ভবের কথা বলছেন; হ্যাঁ-সেটা অবশ্যই সম্ভব, যদি আমরা (মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনকারী) এবং আমাদের সরকার আন্তরিক হয়।’ তিনি বললেন, ‘সম্ভব কি ভাবে সেটা বলো।’ আমি বলতে শুরু করলাম। কিছু সময় শোনার পর তিনি উত্তেজিত হয়ে ধৈর্যহারা হয়ে গেলেন। আমার সাথে কথা সংক্ষিপ্ত করার জন্য বললেন, ‘তুমি অনেক বছর ধরে সাংবাদিকতা করো। লেখালেখিরও অভ্যাস আছে। যেভাবে সম্ভব আমাকে বুঝাতে চাইছো, সেটা লিখে তোলে ধরো।’

আমি আমার সেই বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য আমার চিন্তাটা তোলে ধরছি; সর্বশেষ (২০২২ সাল) আদম শুমারী অনুয়ায়ী দেশে গ্রামের সংখ্যা ৮৭ হাজার ৩শ’ ৯১টি। ২০২৩ সাল পর্যন্ত সারাদেশে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৬শ’ ২০ টি। দেশের প্রাথমিক শিক্ষা শতভাগই এখন আমাদের আওতার মধ্যে। এর অর্থ হচ্ছে দেশের কোনো গ্রাম কোনো পাড়া কোনো বাড়ি আমাদের প্রাথমিক শিক্ষার আওতার বাইরে নেই।

প্রত্যেক বছরের শুরুতে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের গ্রামের প্রত্যেকটি বাড়িতে পাঠিয়ে শিশু জরিপ করানো হয়। তা ছাড়া সরকারের নানা প্রয়োজনে এই শিক্ষকদের দিয়েই নানা ধরণের জরিপ কাজ, তথ্য সংগ্রহের কাজ করানো হয়। চলতি বছরের ২১ মার্চের ইত্তেফাকের একটি রিপোর্টে দেখছি, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫ জন। মাত্র একসাপ্তাহের সময় দিয়ে প্রতিটি গ্রামে জন্য দুইজন করে শিক্ষককে দায়িত্ব দিলে ১৯৭১ সালে কোন গ্রামে কি ঘটেছিলো সেই তথ্য উঠিয়ে আনা সম্ভব। শিক্ষকদের সংগ্রহকৃত তথ্যের মধ্যে কোন গ্রামে হানাদার বাহিনীর হাতে কিংবা রাজাকারদের হাতে কে কোথায় কি ভাবে শহীদ হয়েছেন, কার ঘরের কন্যা-জায়া-জননীর সম্ভ্রম লুট হয়েছিলো তাদের নাম, পিতা-মাতার নামসহ পুরো ঠিকানা সংগ্রহ করা অসম্ভব হবে না। তবে এই তথ্য সংগ্রহের জন্য কিছু অর্থ রাষ্ট্রকে খরচ করতে হবে। সেটা বেনজীর কিংবা মতিউরের অবৈধ ভাবে আয় করা অর্থের চেয়ে অনেক কম হবে।

কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন এই ৫৩ বছর পর তথ্য দেওয়ার মতো লোক কি আছে? আর কে কোথায় মারা পড়েছেন সেটা কি বের করা সম্ভব? অনেকে তো বাড়ি ছেড়ে সীমান্তের দিকে যেতে গিয়ে রাস্তায় গুলি খেয়েছেন, রোগে ভোগে এখানে ওখানে পড়ে মরেছেন। আমার অভিজ্ঞতা বলে এখনো সকল তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব। আমি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি প্রকাশিত ১০ খন্ডে যে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ’ বের হয়েছে সেটার জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখেছি প্রতিটি গ্রামেই বয়স্ক (৬৫ থেকে ৭৫ বছর ও তারচে বেশি বয়সের) মানুষ আছেন। যার বয়স এখন ৬৫ বছর, তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ১২ বছরের কিশোর ছিলেন। তার জানা ও দেখা স্মৃতিতে মুক্তিযুদ্ধের সময়কাল খুবই স্পষ্ট আছে। এমন এমন যারা আছেন তাদের কাছ থেকে সকল তথ্য এখনই সংগ্রহ করে রাখা প্রয়োজন। এরা হারিয়ে গেলে তখন হয়ত সকল তথ্য নাও মিলতে পারে। দেশে হাতে গোনা যে কয়জন গবেষক মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাজ করছেন, তারা এইসব তথ্য সংগ্রহের করে যাচ্ছেন। সরকার চাইলে তাদেও সহযোগিতা নিতে পারবেন। তাজুল মোহাম্মদ নামের একজন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, সেই ১৯৭৯ সালেই সিলেট অঞ্চলের গণহত্যার শহীদ প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার জনের তথ্য সংগ্রহ করে ‘সিলেটে গণহত্যা’ বই প্রকাশ করেছেন।

আর আমি তো বলছি শহীদ ও সম্ভ্রম হারানোদের তথ্য পাওয়ার জন্য প্রতিটি ঘরে ঘরে যাওয়ার কথা। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যে তার স্বজন হারিয়েছে সে নিশ্চয় তার সেই স্বজনের কথা ভুলে যায়নি। সে তার স্বজনের কথা বলবেই। যার পরিবারের কন্যা-জায়া-জননী সম্ভ্রম হারিয়েছেন সেই পরিবারের একজন হলেও ঠিক তথ্যটা দেবেন। এছাড়া গণহত্যার শহীদ অনেক পরিবার ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাক্ষরিত পত্র পেয়েছিলেন, পেয়েছিলেন একটি চেক, সেটারও সন্ধান পাবেন অনেক অনেক পরিবারের কাছে।

আমি একজন সম্পাদককে চিনি। তার পত্রিকায়ই হয়ত আমার এই লেখাটি ছাপা হবে। তিনি প্রবীর শিকদার। ‘একাত্তরের দুর্ধর্ষ রাজাকারদের ইতিবৃত্ত লেখার অপরাধে বোমা-গুলিতে উড়ে গেছে তার একটি পা, চাপাতির কোপে স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা নষ্ট হয়েছে একটি হাতের।’ ১৯৭১ সালে হানাদার বাহিনী ও রাজাকারদের হাতে প্রবীর শিকদার তার বাবা কাকা মামাসহ পরিবারের ১৭ স্বজনকে হারিয়েছেন।

আমি জানি না প্রবীর শিকদারের পরিবারে কোনো মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কি না। তার কেউ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারী চাকুরী পেয়েছেন কিনা সেটাও জানি না। প্রবীর শিকদারের একটি বই আছে ‘বাংলাদেশ শুধুই আমার বাবার কবরস্থান’। তার বাবা বাংলাদেশের কোথায় মিশে আছেন তিনি সেটা জানেন না। তাই সারাদেশটাকেই তিনি বাবার কবরস্থান মনে করেন। আর আমি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা উঠলেই বলি, ‘গণহত্যার শহীদদের রক্তে ধোয়া আমাদের পুরো বাংলাদেশ।’ আমরা জেনেছিলাম ত্রিশ লক্ষ শহীদ হবার কথা। কিন্ত সঠিক ভাবে তথ্য সংগ্রহ করলে আমার ধারণা সংখ্যাটা ত্রিশলাখের অনেক উপরেই হবে।

তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সহজ ভাষায় একটি তথ্য সংগ্রহ ফরমও তৈরী করা যায়। শিক্ষকদের যুক্ত করতে না চাইলে হাইস্কুলের নবম ও দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের দিয়েও এই তথ্য সংগ্রহ করা যাবে। এখন প্রতিটি গ্রামেই এমন ছাত্রছাত্রী পাওয়া সম্ভব। তাদের সংগ্রহকৃত তথ্য যাচাই বাছাই করার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে একটি টিম থাকতে পারে। ইউনিয়নের উপরে উপজেলা পর্যায়েও আরেকটি যাচাইকরণ টিম রাখা যেতে পারে। অর্থাৎ নির্ভুল করার জন্য যা যা করা লাগবে, সেটা করে নিলেই হবে।

এখন কথা আসতে পারে দেশের ভিতরে যারা মারা পড়েছেন তারই কি কেবল শহীদ? না, মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে যারা নিহত হয়েছেন তারা তো শহীদই। এমন কি ভারতে গিয়ে আশ্রয় শিবিরগুলোতে যারা জরাব্যাধিতে মরেছেন তারাও শহীদ। দেশের স্বাধীনতার জন্যইতো তারা ওখানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাদের তালিকা আছে ভারত সরকারের হাতে।

মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে ট্রেনিংয়ে যারা গিয়েছিলো ভারত সরকার তাদের যেমন তালিকা করে রেখেছিলো। ঠিক তেমনি কোন আশ্রয় শিবিরে কতজন শরনার্থী ছিলেন, সে তালিকাও তারা করেছিলো। কোন আশ্রয় শিবিরে কোন তারিখে কতজন মারা গেছেন, তাদের নাম ঠিকানাও লিপিবদ্ধ করা রাখা হতো। আমি এই তথ্য পেয়েছি শরনার্থী শিবিরে সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা একাধিকজনের কাছ থেকে। সমন্বয়ক ছাড়াও প্রতিটি আশ্রয় শিবিরে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগ দিয়ে রাখা হয়েছিলো। তিনি প্রতি মাসে নির্দিষ্ট হারে বেতনও পেতেন।

ফেসবুকে আমার মাত্র তিনটি লাইন পোস্টের প্রেক্ষিতে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার সাথে কথা বলার সুবাদে এই লেখাটি তৈরী হয়ে গেলো। এখন সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সারাদেশের মানুষের সামনেই এটি তোলে ধরলাম।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও ছড়াকার, সাবেক সভাপতি, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব।