ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » মিডিয়া » বিস্তারিত

ময়মনসিংহে সাংবাদিক স্বপন ভদ্রকে কুপিয়ে হত্যা

২০২৪ অক্টোবর ১২ ১৮:২৬:৪০
ময়মনসিংহে সাংবাদিক স্বপন ভদ্রকে কুপিয়ে হত্যা

নীহার রঞ্জন কুন্ডু, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহ নগরীর ৩৩ নং ওয়ার্ডের টানপাড়া (বাইদ্দাখলা) এলাকার নিজ বাড়ির সামনে সাংবাদিক স্বপন কুমার ভদ্র (৭০)কে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

১২ অক্টোবর (শনিবার) সকাল ১০টায় সাংবাদিক স্বপন কুমার ভদ্রকে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জমি জমার কাগজ পত্র বিষয়ে কথা বলবে বলে বাড়ির সামনে ফাঁকা জায়গায় এনে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে পাষন্ড সাগর (২০)।

পরে বাড়ির লোকজনের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী বেরিয়ে আসামী পালিয়ে যায়। মমেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু বরণ করেন বলে কর্মরত ডাক্তার বলেন।

নিহত স্বপন কুমার ভদ্র'র নাতি মিঠুন কুমার সরকার বলেন, এমনভাবে কুপিয়ে হত্যা করবে আমার দাদাকে কখনো কাম্য ছিল না।

নিহত স্বপন কুমার ভদ্রের এক স্ত্রী, দুই ছেলে, বড় ছেলে গোবিন্দ ভদ্র (বেসরকারি চাকুরীজীবি), ছোট ছেলে রনি ভদ্র বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকুরীরত (বর্তমানে মিশনে আছেন)।

এলাকার আফরাফ আলী বলেন,আমি চা স্টলে বসা ছিলাম চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি বাড়ির সামনে খালি জায়গায় জমাট পানিতে কুপানো অবস্থায় পরে আছে স্বপন ভদ্র।তবে এখানেই মইরা গেছে।

তিনি বলেন, কে বা কারা কুপিয়েছে তা দেখিনি। তবে এমন হত্যাকান্ডের আমরা এলাকাবাসী বিচার চাই।

খবর শুনে দ্রুত সময়ে ঘটনাস্থলে জেলা পুলিশ সুপার আজিজুল ইসলাম উপস্থিত হয়ে পরিবারসহ এলাকাবাসীদের কথা দেন দূত সময়ে হত্যাকান্ডে যারা জড়িত তাদের গ্রেফতার করা হবে কঠোর আইনের আওতায় আনা হবে।

কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি সফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। লাশ মর্গে আছে। আমরা কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ খুবই অল্প সময়ে এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করবো।ইতিমধ্য মূল আসামী সাগরকে গৌরীপুর থানা পুলিশ আসামীর বাড়ী পাছার নামক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে, এবং ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। উল্লেখ্য ময়মনসিংহ ৩৩ নং ওয়ার্ড মাঝিপাড়া একটি মাদকাসক্ত এলাকা এবং সাংবাদিক স্বপন ভদ্র মাদকাসক্ত এবং মাদক ব্যবসায়ী দের বিরদ্ধে সব সময় সোচ্চার ছিলেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তরা তার উপরে ক্ষিপ্ত ছিল- বলে জানা যায়। এলাকায় মাদকের অভায়ারন্য বলে পরিচিতি লাভ করেছে।

(এনআরকে/এএস/অক্টোবর ১২, ২০২৪)