প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত
‘নোটিশ, আমিরগঞ্জ স্টেশন বন্ধ’
২০২৪ নভেম্বর ০১ ১৯:৫৯:৫৪স্টাফ রিপোর্টার : নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ রেলস্টেশনটি প্রায় দুই বছর ধরে ‘অচল’ অবস্থায় পড়ে আছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) সরজমিনে দেখা যায়, স্টেশন মাস্টারের রুমে তালা ঝুলছে। জানালায় লাগানো সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে, ‘নোটিশ। আমিরগঞ্জ স্টেশন বন্ধ’।
স্থানীয়রা জানান, স্টেশন মাস্টার না থাকায় লুপ লাইনের সিগন্যাল মোটর চুরি হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন স্টেশনটি ব্যবহার না হওয়ায় প্ল্যাটফর্মের দুই পাশের রেললাইনের ওপর ফেলে রাখা হয়েছে ময়লার বস্তা। এতে নষ্ট হচ্ছে রেলওয়ের জিনিসপত্র। অথচ ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে আমিরগঞ্জ স্টেশনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ স্টেশন থেকে প্রতিদিন ৭টি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।
মাসুদ নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, স্টেশন মাস্টার না থাকায় প্ল্যাটফর্ম সংলগ্ন লাইনে কোনো ট্রেন থামায় না। শুধু মাঝখানের লাইনে ট্রেন এক মিনিটর যাত্রাবিরতি দেয়। ফলে এখান থেকে কোনো মালামাল উঠানামা করা যায় না। এতে ভোগান্তি ও খরচ বেড়েছ।
আরিফ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন এই স্টেশন থেকে যাতায়াত করেন। কিন্তু প্ল্যাটফর্ম সংলগ্ন লাইনে ট্রেন না থামানোর কারণে প্রায়ই নারী শিক্ষার্থীরা উঠতে পারেন না।
স্টেশনের কয়েকজন যাত্রী বলেন, স্টেশন মাস্টার না থাকায় ট্রেনের অবস্থান জানা যাচ্ছে না। অনুমান নির্ভর স্টেশনে এসে অনেকে ট্রেন পেলেও মাঝখানের লাইনে থামানোর কারণে অসুস্থ, বৃদ্ধ, শিশুরা উঠতে পারেন না। ট্রেনে উঠতে গিয়ে অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।
এ বিষয়ে নরসিংদী রেলস্টেশন মাস্টার মো. মুছা বলেন, শুধু নরসিংদীর আমিরগঞ্জ নয়, স্টেশন মাস্টারের অভাবে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ৪০টি স্টেশন বন্ধ রয়েছে। শিগগিরই স্টেশন মাস্টার নিয়োগ করে বন্ধ স্টেশনগুলো চালু করা হবে।
(ওএস/এএস/নভেম্বর ১, ২০২৪)