ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিন » বিস্তারিত

১২ নভেম্বর, ১৯৭১

২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী কর্নেল বাজার এলাকায় পাকসেনাদের এ্যামবুশ করে

২০২৪ নভেম্বর ১২ ১৩:০২:১৫
২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী কর্নেল বাজার এলাকায় পাকসেনাদের এ্যামবুশ করে

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : কুষ্টিয়ায় মুক্তিবাহিনী আলমডাঙ্গা পাকসেনা ঘাঁটি আক্রমণ করে। পাকসেনারা পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়। এই যুদ্ধে পাকবাহিনীর ১৭ জন সৈন্য নিহত হয়। অপরদিকে ২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।

অপর এক ঘটনায় আলমডাঙ্গায় মুক্তিযোদ্ধাদের এক সফল অভিযানে পাকবাহিনীর একজন পশ্চিম পাকিস্তানি রেঞ্জার, ১৯ জন রাজাকার ও একজন পশ্চিম পাকিস্তানি পুলিশ নিহত হয়।

সিলেটে মুক্তিবাহিনীর এ্যামবুশ দল আড়িয়াল নামক স্থানে পাকসেনাদের একটি দলকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে ৭ জন পাকসেনা নিহত হয়। অপরদিকে মুক্তিবাহিনীর একজন যোদ্ধা আহত হন।

২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী কর্নেল বাজার এলাকায় পাকসেনাদের এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে ৮ জন পাকসেনা নিহত হয়। অন্যদিকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা আহত হন। অপর দিকে এক ঘটনায় চাইলাশিয়া এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের এ্যামবুশে পাকবাহিনীর ৭ জন সৈন্য নিহত হয় ও ৫ জন আহত হয়।

৪নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী জুড়ী-গোয়ালবাড়ী এলাকায় পাকবাহিনীর ওপর ব্যাপক আক্রমণ চালায়। এই সংঘর্ষে ৫ জন সৈন্য ও একজন রাজাকার নিহত হয়।

১নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর এক প্লাটুন যোদ্ধা পাকবাহিনীর একটি টহলদার দলকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে ৭ জন পাকসেনা নিহত হয় ও আহত হয়।

৭নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর দুই কোম্পানী যোদ্ধা ভারতীয় বিএসএফ বাহিনীর সহায়তায় রাজারামপুর পাকসেনা ঘাঁটি আক্রমণ করে। এই যুদ্ধে পাকাবাহিনীর একজন অফিসারসহ ১০ জন সৈন্য ও ৬০ জন রাজাকার নিহত হয় এবং ১২ জন রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বন্দী হয়। অপরদিকে ৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।

পূর্ব পাকিস্তানের ঘটনাবলি সম্পর্কে পাকিস্তানিদের বক্তব্য বহির্বিশ্বকে জানানোর উদ্দেশে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের কয়েকটি দেশ সফর শেষে ফিরে জামায়তে ইসলামির সেক্রেটারী জেনারেল চৌধুরী রহমত এলাহী জানান, পাকিস্তান আক্রান্ত হলে বিশ্ব পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াবে।

তিনি আরো বলেন, ইসলামী রাষ্ট্রগুলো পাকিস্তানকে ইসলামের দুর্গ মনে করে।

ফরাশি প্রেসিডেন্ট র্জজ পম্পিদু ও পশ্চিম জার্মান চ্যান্সেলর উইলি ব্রান্ট পাকিস্তানের জেনারেল ইয়াহিয়া খানের কাছে জরুরি পত্র পাঠান।

চীন সফর শেষে দেশে ফিরে জুলফিকার আলী ভূট্টো বলেন, পাকিস্তান আর এখন একা নয়। যেকোন ধরনের আক্রমনে চীন পাকিস্তানকে পূর্ণসমর্থন দেবে।

তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

(ওএস/এএস/নভেম্বর ১২, ২০২৪)