ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » শিক্ষা » বিস্তারিত

‘স্কুলগুলোকে সুন্দর-আকর্ষণীয় করতে হবে’

২০২৪ নভেম্বর ১৪ ০০:১৫:৪৪
‘স্কুলগুলোকে সুন্দর-আকর্ষণীয় করতে হবে’

স্টাফ রিপোর্টার : শিশুরা যাতে আনন্দের সঙ্গে পড়াশোনা করতে পারে, সেজন্য স্কুলগুলোকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে হবে। এমনটি বলেছেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন আয়োজিত ‘প্রাথমিক শিক্ষায় পরিমার্জিত ডিপ্লোমা সম্পর্কিত কার্যকর সমীক্ষা’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে খাবার কর্মসূচি পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। স্কুলগুলোকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে হবে, যাতে শিশুরা আনন্দের সঙ্গে লেখাপড়া করতে পারে।

তিনি বলেন, মাতৃভাষার পাশাপাশি অন্য ভাষায়ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। মানুষকে সমাজের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষা ছাড়া তা সম্ভব নয়। সমাজ দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। নাগরিকদের যৌক্তিকভাবে শেখাতে হবে, যাতে তারা বাস্তব জীবনে শিক্ষা প্রয়োগ করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, নাগরিকদের শিক্ষিত করে তোলা এবং প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক ও সর্বজনীন করার লক্ষ্যে সবচেয়ে বড় রিসোর্স হলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের রয়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রাথমিক স্কুলের অবকাঠামো, সেখানে স্নাতকধারী শিক্ষক রয়েছেন। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। সেই শিক্ষকরা ভবিষ্যৎ নাগরিকদের যোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির মহাপরিচালক ফরিদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল হাকিম, ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন মাইকেল ক্রেজজা।

সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের কনসালটেন্ট দেবরাহ ওয়েবার্ন, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির সহকারী বিশেষজ্ঞ মাহবুবুর রহমান ও এ টি এম রাফেজ আলম। তাদের উত্থাপিত সুপারিশগুলো নিয়ে অনুষ্ঠানে আলোচনা হয়।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন, অর্থ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো, শিশুকল্যাণ ট্রাস্ট, ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি, জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এবং প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) ৭৫ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ১৪, ২০২৪)