ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » পাঠকের লেখা » বিস্তারিত

হুমকির মুখে স্পিনিং শিল্প

২০২৪ নভেম্বর ১৭ ১৮:১৫:১৮
হুমকির মুখে স্পিনিং শিল্প

ইদ্রিস আলী মোল্যা


বিনিয়োগকারী হচ্ছে স্থানীয় উদ্যোক্তারা। গার্মেন্টস শিল্প বৃদ্ধির সাথে সাথে স্পিনিং শিল্পের বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাঁচামালের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে নতুন ইউনিট স্থাপন কারখানা রয়েছে, তাই তারা অর্ডার অনুযায়ী সুতা এবং কাপড় সল্প সময়ে ব্যবহার করে।

মিল স্থাপন করেছে স্পিনিং মিলে উৎপাদিত সুতার ৮০% বিশুদ্ধভাবে তুলার সুতা, বাকি ২০% তুলা এবং কৃত্রিম ফাইবার থেকে মিশ্র সুতা মানবসৃষ্ট ফাইবার সঙ্গে বাংলাদেশের স্পিনিং ও পোশাক খাতের সক্ষমতা বাড়াবে। হঠাৎ করে প্রতি ইউএস ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে ৮৪/৮৫ টাকা থেকে১২০/১২২ টাকা হওয়ায় প্রতিটি মিলের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ২০২২ইং সালের ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ভালুকা এবং হবিগঞ্জ সর্বাধিক উৎপাদন কেন্দ্র এবং স্পিনিং মিল শিল্প কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত। সেখানে অবস্থিত এই শিল্পগুলির জন্য বাংলাদেশের পোশাক খাতে প্রচুর বৈচিত্র্যময় কাঁচামালের প্রয়োজন হওয়ায় স্থানীয় পোশাক নির্মাতারা ডেনিম এবং কৃত্রিম কাপড়সহ বৈদেশীক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে হোয়াইটপার্ল ইন্টারন্যাশনাল পোশাকের চাহিদা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের কাজের অর্ডারের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে পোশাক খাতে সুতা ও অন্যান্য কাপড়ের চাহিদা বাড়ছে।

যদি স্থানীয় পোশাক রপ্তানিকারকরা চীন এবং ভারতের মতো অন্যান্য দেশ থেকে সুতা এবং কাপড় আমদানি করে, তবে তা পেতে প্রায় ৪০ দিন সময় লাগবে। এর বিপরীতে, তারা স্থানীয় বাজার থেকে প্রয়োজনীয় আইটেম কিনতে পারে, তাই স্থানীয় স্পিনাররা বাজারে তাদের পদচিহ্ন প্রসারিত করার চেষ্টা করছে।

এটি একই নিয়ম-নীতির আওতায় শিল্পগুলো আরো হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। পূর্বে ৫-১০% মার্জিনে খ/ঈ খুলে তুলা আমদানী করতে পারতো। এখন সেটা কোন কোন সময় ২০২২ সালের মার্চ মাসে বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডে পুনঃস্থাপনের কারণে গ্যাস সংকটের পরে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশুলিয়া, শ্রীপুর, ঢাকা, গাজীপুর, সাভার, আমদানি করা সুতা এবং কাপড় থেকে তৈরি করা হলে সময় মতো পোশাক সামগ্রী সরবরাহ করা কঠিন হয় এখন বেশিরভাগ স্থানীয় স্পিনারের রপ্তানিমুখী পোশাক বোনা কাপড়ের, এবং স্থানীয় পোশাক শিল্পের জন্য .১০ বিলিয়ন মূল্যের সুতা আন্তর্জাতিক পোশাক খাত এবং ব্র্যান্ডগুলির কাছ থেকে প্রচুর অর্ডার রয়েছে। এখন এই সেক্টরে ২০২১ সালে উদ্যোক্তারা বিশ্বব্যাপী পোশাক সরবরাহের শৃঙ্খলে মহামারীতে ফিরে আসা অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও উচ্চ চাহিদা মেটাতে অনেকগুলো নতুন স্পিনিং রয়েছে।

অন্যদিকে স্পিনিং মিল গুলোতে ২০২২ সাল থেকে গ্যাস/বিদ্যুৎ অপ্রতুল হওয়ায় সুতার উৎপাদন কমতে থাকে। উক্ত সমস্যার কোন সমাধান না হওয়ায় যথেষ্ট পরিমাণে গ্যাসের প্রয়োজন, এবং সর্বশেষ গ্যাস সংকটের পরে, সুতা নির্মাতারা তাদের উৎপাদন ক্ষমতা নিয়ে বিক্ষুব্ধ। মিল মালিকেরা গ্যাসের তীব্র সংকটের তুলা যাহা সম্পুর্ণ ই বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়। গত নভেম্বর-২০২৩ সাল থেকে বাংলাদেশে রিজার্ভ ঘাটতি হওয়ায় তুলার খ/ঈ খুলার সংকটে পরে মিল।

এ কারণে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর লোকসানের অভিযোগ করছেন। স্পিনিং শিল্প ক্রমন্বয়ে রুগ্ন পথে চলছে। প্রায় ৪৫০টি স্পিনিং মিল প্রতিদিন কাজ করছে। যার মধ্যে, শুধুমাত্র ২৭টি কারখানাই ম্যান-মেড ফাইবার (এমএমএফ) উৎপাদন করছে, কিন্তু এগুলো কিছু নির্দিষ্ট স্থগিত ছিল। গ্যাস সমস্যার কারণে গত কয়েক মাস ধরে প্রতিদিন সুতা উৎপাদন কম হচ্ছে এবং মিলগুলো চরম সংকটে পরেছে। পলিয়েস্টার সুতার জন্য বর্তমানে বাংলাদেশ ১ লক্ষ টনেরও বেশি মানবসৃষ্ট ফাইবার আমদানি করেছে, কিছু শিল্পের লোকদের মতে। বাংলাদেশে নতুন নতুন উদ্ভাবন যৌথ ক্ষমতা ছিল যাহা বর্তমানে ক্রমান্বয়ে নিম্নমুখী হওয়াতে গত বৎসর ৮.৮ মিলিয়ন ও ব্যাপক মাত্রায় উৎপাদন কমে গেছে। স্পিনিং মিলের প্রধান কাঁচামাল হচ্ছে স্পিনিং সেক্টরে পর্যাপ্ত সুতা সরবরাহ করার জন্য। ভাল মানের পণ্য, দ্রুত লিডটাইম এবং ব্যক্তিগত খরচ সুতা এবং কাপড়ের স্থানীয় চাহিদাকে অনেক বেশি চাপ ১০০% মার্জিন পরিশোধ করেও খ/ঈ খুলা সম্ভব হচ্ছে না।

স্থানীয় স্পিনাররা বাজারে তাদের পদচিহ্ন প্রসারিত করার চেষ্টা করছে, গার্মেন্টস নির্মাতারা দীর্ঘ সময় কমানোর জন্য স্থানীয়ভাবে তৈরি সুতা পছন্দ করে। কারণ তারা
গ্যাসের চাপ ১ পাউন্ড প্রতি বর্গ ইঞ্চি (চঝও) থেকে ২ চঝওএ নেমে এসেছে যেখানে প্রয়োজন ছিল ১৫ চঝও থেকে ২০ চঝও। ফলে মিলগুলোতে উৎপাদন প্রায়
উদ্দেশ্যমূলক দৃষ্টি ভঙ্গি নির্ধারণ করে। যাই হোক, গ্যাসের ঘাটতি দূর করতে,বিদ্যুৎতের ঘাটতি দূর করতে, নিয়মিত সাভাবিক গতিতে খ/ঈ খুলতে, লজিস্টিক ও বন্দর
ও কৌশলের মাধ্যমে এই খাত থেকে অর্থ উপার্জনের বিশাল সুযোগ রয়েছে। তরুণ উদ্যোক্তারা স্পিনিং শিল্পে তাদের ফোকাস রাখে এবং ভবিষ্যতের জন্য তাদের
বাংলাদেশের সিংহভাগ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী শিল্প হচ্ছে গার্মেন্টস শিল্প। আর গার্মেন্টস শিল্প নির্ভর করে স্পিনিং শিল্পের উপর। বাংলাদেশের স্পিনিং শিল্প করছেন।

বাংলাদেশে প্রায় ৬০০ স্পিনিং মিল রয়েছে। ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী স্থানীয় স্পিনারদের প্রতি বছর প্রায় ১৩.৪৩ মিলিয়ন তুলা বেল প্রক্রিয়া করার
মিলেয়ে দেশের স্থানীয় স্পিনাররা নিটওয়্যার সেক্টরের প্রয়োজনীয় কাঁচামালের ৮৫-৯০% এবং বোনা খাতের ৪০%সুতা সরবরাহ করতে সক্ষম দেখে মনে হচ্ছে।
সমস্যা কমাতে এবং খাতের জন্য সময়োপযোগী নীতি প্রদানে সরকারি সহায়তা ছাড়া উদ্যোক্তারা তাদের লক্ষ্য অর্জনে বাধার সম্মুখীন হবে।

লেখক : প্রোপ্রাইটর, হোয়াইটপার্ল ইন্টারন্যাশনাল।