প্রচ্ছদ » প্রবাসের চিঠি » বিস্তারিত
১০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ২৫০ শতাংশ
২০২৪ নভেম্বর ১৯ ১৭:৩৫:০৬ইমা এলিস, নিউ ইয়র্ক : গত ১০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে যেখানে এই সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৮০২ আর ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৯৯ জনে। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্যুরো অব এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স ও ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন প্রতিবছর এই ‘ওপেন ডোরস রিপোর্ট’ প্রকাশ করে থাকে। এ প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রি-অ্যাকাডেমিক ইনটেনসিভ ইংলিশ প্রোগ্রামে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তির তথ্য তুলে ধরা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে বাংলাদেশের ১৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছেন। ২০২৪ সালের ‘দ্য ওপেন ডোরস রিপোর্ট অন ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনাল এক্সচেঞ্জ’-এর তথ্য অনুযায়ী, গত শিক্ষাবর্ষের (২০২২-২০২৩) তুলনায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৬ শতাংশ বেড়েছে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ এক বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পাঠানো দেশের তালিকায় ১৩তম থেকে অষ্টম স্থানে উঠে এসেছে।
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা রেকর্ড ১১ লাখ ২৬ হাজার ৬৯০–এ পৌঁছেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ বেশি। স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ শতাংশ বেড়ে ৫ লাখ ২ হাজার ২৯১–এ পৌঁছেছে। আর স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ব্যবহারিক কাজের অভিজ্ঞতার প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কমিউনিটি কলেজগুলোতেও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা গেছে, যেখানে ভর্তির সংখ্যা ১৩ শতাংশ বেড়ে ৫৯ হাজার ৩১৫–এ পৌঁছেছে, যা গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী বৃদ্ধির ঘটনা।
২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি এবং ৩ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব কমার্স। আন্তর্জাতিক শিক্ষা ও শিক্ষার্থী বিনিময়ের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার দৃঢ়। কারণ, তা উদ্ভাবন ত্বরান্বিত করা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী করা, কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করা ও জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২০২৪ সালের আন্তর্জাতিক শিক্ষা সপ্তাহ উদ্যাপন উপলক্ষে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস একাধিক ভার্চ্যুয়াল ও সরাসরি সেশন আয়োজন করছে। এসব সেশনে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার আবেদনের প্রক্রিয়া, বিভিন্ন ধরনের একাডেমিক প্রোগ্রাম, তহবিল বা স্কলারশিপের সুযোগ ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের স্পনসর করা প্রাতিষ্ঠানিক ও পেশাগত বিনিময় প্রোগ্রাম সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করা হয়। আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য বা [email protected] -এ মেইল করতে পারেন আগ্রহীরা।
(আইএ/এসপি/নভেম্বর ১৯, ২০২৪)