ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » জাতীয় » বিস্তারিত

নির্বাচনকালে পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা চায় নির্বাচন কমিশন

২০২৪ নভেম্বর ২০ ১৭:০৫:৩০
নির্বাচনকালে পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা চায় নির্বাচন কমিশন

স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাচনের সময় বাধাহীনভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা চেয়ে সংস্কার কমিশনের কাছে সুপারিশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে সংস্কার কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এ প্রস্তাব দেন ইসি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন ইসি সচিব শফিউল আজিম।

ইসি সচিব বলেন, একটা হাইপ্রোফাইল সংস্কার কমিশন এখানে কাজ করছে। এজন্য সম্মান বোধ করছি। আমরা সহায়তা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছি। কারণ এটা আমাদের অঙ্গীকার। সংবিধানেরও অঙ্গীকার হলো গণপ্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা। এটা নিশ্চিত করার জন্য সংবিধানই দায়িত্ব দিয়েছে নির্বাচন কমিশনকে।

তিনি বলেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে যে দুর্বলতা আছে আমরা সেগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছি। মাঠের অভিজ্ঞতা থেকে গণমাধ্যমসহ অংশীজনের কী অভিজ্ঞতা আছে, আমরা সেগুলো নিয়েও আলোচনা করেছি। হস্তক্ষেপ কোথা থেকে কীভাবে হয় এবং আইনগত কর্তৃত্বের বাইরে নির্বাচনে কারা কীভাবে হস্তক্ষেপ করে, এগুলো নিয়ে আমরা খোলামেলা আলোচনা করেছি।

শফিউল আজিম বলেন, আলটিমেটলি মানুষের যে আশা, অর্থাৎ অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সর্বজন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য যা যা করা দরকার সেসব সুপারিশ আমরা করেছি। আমরা আশা করি, কমিশন যদি সদয় হয়, আমরা আমাদের সুপারিশগুলো আরো কংক্রিট আকারে দিতে পারব।

ইসি সচিব বলেন, সুনির্দিষ্টভাব আমরা যেটা বলেছি, নির্বাচন কমিশন তো নির্বাচন একা করে না। সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রের সব অর্গান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করে এবং নির্বাচন কমিশনকে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে সংবিধান ও আইনে, সেই ক্ষমতা যেন পুরোপুরি প্রয়োগ করা যায়। আইনের প্রয়োগ কিন্তু পুরোপুরি হয় না। আইনের প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে যাতে নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কমিশনাররা, নির্বাচন কর্মকর্তারা কোনো ধরনের কোনো কর্তৃপক্ষ দ্বারা বাধাগ্রস্ত না হন, অন্য কেউ যাতে এখানে হস্তক্ষেপ করতে না পারে, আমাদের সেই সুপারিশ আছে।

তিনি বলেন, আমাদের একটা সুপারিশ হলো সংবিধানে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, সেটা যাতে আরো সুনির্দিষ্ট করা যায় আইনের মাধ্যমে। আরেকটা হলো নির্বাচন ব্যয় ও নির্বাচন অপরাধের বিচার যাতে আরো সুনির্দিষ্ট করা যায়, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে অন্য কোথাও যাতে চলে যেতে না পারে, সেই সুযোগ যেন না থাকে। অর্থাৎ নির্বাচনের সময় কেউ কোনো কুকর্ম করে থাকলে পরেও যেন বিচার করা যায়, সেই ক্ষমতা যেন ইসির থাকে, সেই সুপারিশও করেছি।

এছাড়া, মিডিয়াকে নিরপেক্ষ আচরণের আহ্বান জানিয়ে শফিউল আজিম বলেন, সবাই নিরপেক্ষ থাকলে সুন্দর নির্বাচন করা সম্ভব।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ২০, ২০২৪)