প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত
ফরিদপুরে মিরান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জেলা ছাত্রদলের সভাপতির আবেগঘন স্টাটাস
২০২৫ জানুয়ারি ২৪ ২৩:৫৪:১৩রিয়াজুল রিয়াজ, ফরিদপুর : ফরিদপুরে মিরান খান নামের এক যাবেক যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় একটি আবেগঘন স্টাটাস দিয়েছেন ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন অনু।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে অনু তাঁর নিজস্ব নিজের ফেসবুক একাউন্টে এই স্টাটাস দেন। জেলা ছাত্রদল সভাপতি লেখেন, 'মিরান হত্যাকাণ্ডের পিছনে রয়েছে লোকাল আওয়ামী লীগ নেতাদের পরিকল্পিত মাঠ প্রস্তুতি ও বিনিয়োগ। আর দোষ কোলের ভেতর নিয়ে আওয়ামী লীগকে সেল্টার দেয়া আমাদের দলের কিছু কুলাঙ্গারের'। তিনি আরো লিখেন, 'মিরানকে হত্যার মাঠ প্রস্তুতি কিছুদিন ধরেই চলছিলো। গতকাল পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একজন আমাকে ফোন দিয়ে মিরান এর ব্যাপারে নেগেটিভ নালিশ পেয়েছে বলেছে। অর্থ ওরা তাকে ইনফরমেশন দিয়েছে এভাবে। মিরান ওপারে যে ছেলের মাধ্যমে থাকে সে ছেলে ৭ দিন ধরে চরে নাই। এখন ওর ঘরে ঢুকে পিটিয়ে, হাত পা এর রগ ছাড়িয়ে, চোখ উঠানোকে বলার চেষ্টা করা হবে গণধোলাই এমনটিই মাঠ প্রস্তুতি ছিলো'। তিনি আরো বলেন, 'এর আগে আমার বিপক্ষে মিথ্যা হত্যা মামলায় ওকেও (মিরান) মামলার আসামি করা হয়েছে। তার আগে ১৮ এর নির্বাচনে ছাত্রলীগ ওকে ঘরে ঢুকে হাত পা ভেঙে ফেলেছে। চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ (সাবেক মন্ত্রী) চাচা ওকে দেখতে গিয়েছিলেন ওর বাসায়।তারেক রহমান এর ঈদ উপহার ও পেয়েছে কয়েকবার নির্যাতিত পঙ্গু হিসাবে।
চরের ওপারে অল্প কিছু মানুষের মাঝে অজনপ্রিয় উপস্থাপন করে ওখানে কিলিং মিশন সম্পন্ন হয়েছে'। স্টাটাসের শেষ অংশে অনু লিখেন, 'আমি পরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ডের সূত্র থেকে শুরু করে বিচার অব্দি প্রশাসন এর সহোযোগিতা চাই। গরীব হলেও সে অনেক উদ্যোগি ছিলো। আমার ইন্টারনেট ব্যাবসার ফিড হোল্ডার ছিলো। ওই এলাকার আর সবার মত সেও বালির ব্যাবসা করতো।
যাই হোক সব কিছুই দৃশ্যমান। বিচার হোক সুক্ষ, গ্রেফতার হোক দ্রুত'।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) মধ্যরাতে ফরিদপুর সদর উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়নের গদাধর ডাংগি গুচ্ছগ্রামে মিরানকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত মিরান খান একই ইউনিয়নের উত্তর সাদীপুর এলাকার জালাল খানের পুত্র। মিরান ওই গুচ্ছগ্রামে বসবাস করতেন। তিনি আলিয়াবাদ ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ড যুব দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন বলে জানা গেছে। নিহতের ভাই ইরান খান জানান, 'মিরান মাছ ও বালুর ব্যবসা করতো। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের লোকজনের সঙ্গে মিরানের বিরোধ চলছিল'।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদ উজ্জামান বলেন,
নিহত মিরান খানের নামে হত্যা ও চাঁদাবাজিসহ মোট পাঁচটি মামলা রয়েছে। ব্যবসা নিয়ে বিরোধ আছে স্থানীয়দের সঙ্গেও। তিনি কিছুদিন রাজনীতির সাথেও জড়িত ছিলেন। এসবকিছু বিবেচনায় নিয়ে পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে'।
(আরআর/এএস/জানুয়ারি ২৪, ২০২৫)