প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত
ফরিদপুরে ঈদের হাসি ফুটলো চার সহস্রাধিক দুস্থ নারী-পুরুষের মুখে
২০২৫ মার্চ ২৯ ২৩:৫৬:৩৪
স্টাফ রিপোর্টার, ফরিদপুর : পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে শেষ মুহুর্তে ফরিদপুরে চার সহস্রাধিক দুস্থ নারী-পুরুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলেছেন অকো-টেক্স গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সাজিদ-সোবহান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন। জেলার দুটি উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের এসব মানুষের হাতে যাকাত হিসেবে ঈদ উপহার তুলে দেয়া হয়। এতে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন উপকার ভোগী এসব মানুষেরা।
শনিবার বেলা ১১ টার দিকে জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের পুরদিয়া গ্রামে আনসার আলী মিয়া মাদ্রাসা মাঠে ফাউন্ডেশনটির উদ্যোগে বার্ষিক যাকাত বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার মো: আব্দুল জলিল। পরে জেলা সদরের কানাইপুর, চাঁদপুর, কৈজুরী ও কৃষ্ণনগর এবং সালথা উপজেলার আটঘর ও গট্টি ইউনিয়নের তিন হাজার সাতশ নারী পুরুষের হাতে ঈদ উপলক্ষে খাদ্য সামগ্রী ও পরিধেয় বস্ত্র তুলে দেন প্রধান অতিথিসহ অকো-টেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান (সিআইপি)। এ সময় মহিলাদের মাঝে শাড়ি, থ্রি-পিচ এবং পুরুষদের মাঝে লুঙ্গি ও পাঞ্জাবী সহ প্রত্যোকের মাঝে চিনি ও সেমাই বিতরণ করা হয়।
বিতরণপূর্বে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান জানান, সবাইকে ঈদের আনন্দে শামিল করতেই সাজিদ-সোবহান ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন এই উদ্যোগ নিয়েছে। সারাদেশের ১৬টি জেলায় হতদরিদ্র ও দুস্থদের মাঝে আমাদের এই যাকাত বিতরণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে আমার নিজ জন্মভূমিতে আনুষ্ঠানিকতা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রত্যেকেরই উচিত প্রতিবেশীর খোঁজখবর নেওয়া এবং হত দরিদ্রদের পাশে থাকা। সমাজের স্বাবলম্বীরা সবাই যদি এগিয়ে আসে তাহলে কেউই ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবেন না। আমরা চাই, সমাজ এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত হোক যেন আপনারা আমাদের উপহার দিতে পারেন, সেজন্য আপনাদের জন্য কায়মনোবাক্যে দোয়া থাকবে। এছাড়া তিনি সমাজ থেকে মাদক এবং বিশেষ সুবিধা নিয়ে গ্রাম্য বিচার সালিশের নামে অবিচার দূর করতে প্রশাসন সহ সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
এদিকে যাকাত নেয়ার জন্য সকাল ৯টা থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও রিক্সা-ভ্যানযোগে আসতে শুরু করেন সকলে। কেউবা নিজের সন্তান কোলে, কেউবা লাঠিতে ভর করে চলে এসেছেন যাকাত নিতে। বয়সের ভাড়ে নুয়ে পড়েছেন, তবুও ঈদের হাসি হাসতে পাশ্ববর্তী চাঁদপুর ইউনিয়ন থেকে ছুটে এসেছেন সত্তরোর্ধ্ব মোতালেব মোল্যা।
তিনি ঈদ উপহার পেয়ে আবেগাপ্লূত হয়ে বলেন, ‘এই প্রথমবারের মতো মাদ্রাসার হুজুরেরা বাড়ীতে গিয়ে স্লিপ দিছিলো তাই নিয়ে আসার পরে লুঙ্গি/পাঞ্জাবি পাইছি, সাথে আবার সেমাই আর চিনিও দিছে। নতুন কাপড় পইড়্যা ঈদের নামাজ পড়তে যাব, আমার ভাল লাগতেছে।’ বিতরণকালে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান, কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আসাদউজ্জামানসহ গণ্যমান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
(ডিসি/এসপি/মার্চ ২৯, ২০২৫)