প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত
দিনাজপুরে দেশের অন্যতম বৃহৎ ঈদ জামাত
২০২৫ মার্চ ৩১ ১৬:০৬:৫০
শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : দেশের অন্যতম বৃহৎ ঈদ-উল-ফিতরের জামাত অনুতি হয়েছে দিনাজপুরে। দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে এ জামাতে দূর-দূরান্ত থেকে অংশ নেয় লাখো মুসল্লি। ধনী-গরিব, উঁচু-নিচু সব ভেদাভেদ ভুলে দিনাজপুরে এ ঈদের জামাত পরিনত হয় মুসল্লিদের মিলন মেলায়।দেশ-জাতি ও মুসল্লিম উম্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় এ জামাতে।
সকাল থেকে মুসল্লিদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দান। দেশের অন্যতম বৃহৎ ঈদ-উল-ফিতরের এ জামাতে অংশ নেয় লাখো মুসল্লি। প্রধান জামাত। এ ঈদের জামাত পরিনত হয় মুসল্লিদের মিলন মেলায়। সকাল ৯ টায় অনুষ্ঠিত হয় এ জামাত।
সকাল থেকে মুসল্লিদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দান। দক্ষিণ এশিয়া উপমহাদেশের অন্যতম সর্ববৃহৎ ঈদ-উল-ফিতরের জামাতে অংশ নিতে সমবেত হয় অসংখ্য মানুষ। প্রায় ২২ একর জায়গা কানায় কানায় পূরণ হয়। এ ঈদের জামাতে দলে দলে সমাগম ঘটে লক্ষাধিক মুসল্লির। এ ঈদের জামাত পরিনত হয় মুসল্লিদের মিলন মেলায়। সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হয় এ জামাত। রাজধানী ঢাকা, চট্রগ্রাম, কুষ্টিয়া, সাতক্ষিরা, টাঙ্গাইল, বগুড়া, রংপুর, নীলফামারী, জয়পুরহাটসহ আশপাশের অনেক জেলা মুসল্লিরা অংশ নেয় এ জামাতে। এশিয়া উপমহাদেশের অন্যতম সর্ববৃহৎ এ জামাতে নামাজ আদায় করতে পেতে আনন্দে আপ্লুত হয় মুসল্লিরা।
রাজধানী ঢাকা থেকে আগত ষাটর্বেধাবয়সের কাছাকাছি মো. দেলোয়ার হোসেন জানালেন ‘এতো বড় জামাতে এক সাথে নামাজ আদায় এই প্রথম। জানিনা, আর কখনো এই সুযোগ হবে কি না। এই সর্ববৃহৎ ঈদগাহে নামাজ আদায় করতে পেওে আমি আনন্দিত ও গর্বিত। চট্রগাম থেকে এই ঈদগাহে নামাজ আদায় করলেন মজিবর রহমসান তিনি গতকাল রাহবার পরিবহণের মাধ্যমে এসে সম্পর্কিত ভাইয়ের বাড়িতে ছিলেন। আজ চলে যাবেন।’
দিনাজপুর পুলিশ সুপারে মা. মারুফাত হুসাইন জানালেন, ঈদের জামাত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য বড় এই ঈদ জামাতে নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়। ঈদগাহ মাঠজুড়ে ছিলো চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করে। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে মুসল্লিরা মাঠে প্রবেশ শুরু করেন। মাঠের চত্বরদিকে তৈরি ১৭টি প্রবেশ পথে মুসল্লিদের মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। মাঠে ছিলো ৫টিঁ ওয়াচ টাওয়ার, পুলিশ ও র্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্প। ৩০টি সিসিটিভি ক্যামেরা এবং ডোনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মনিটরিং ছিলো আইন-শৃংখলা বাহিনীর। মাইক বসানো ছিলো ১১০টি।ছিলো স্বাস্থ্য ক্যাম্পের ব্যবস্থা। তৈরি করা হয় ২৫০টি অজুখানা এবং সুপেয় পানির ব্যবস্থা ও মেডিকেল ক্যাম্প।
এই ঈদের নামাজ পড়ান ও মোনাজাত করান মাওলানা মো. মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ইমামকে সহযোগিতা করার জন্য বিভিন্ন মসজিদ এবং মাদ্রাসা থেকে নিয়োজিত ছিলো পাঁচ শতাধিক মুক্কাবির। ছিলো স্বাস্থ্য ক্যাম্পের ব্যবস্থা। তৈরি করা হয় ২৫০টি অজুখানা এবং সুপেয় পানির ব্যবস্থা। কয়েকদিন প্রচন্ড তাপদাহ গেলেও আল্লাহর রহমতে আজ আবহাওয়া অনুকুলে ছিলো। মুসল্লিরা স্বস্তি পেয়েছেন, নামাজ আদায়ে।’
দেশ-জাতির কল্যাণ এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি কামনা করে এ ঈদের নামাজে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
উপমহাদেশের অন্যতম বৃহৎ ঈদের এই জামাত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘দৃষ্টি নন্দন এই ঈদগাহ মিনার এ রয়েছে ৫২টি গম্বুজ। প্রধান গম্বুজের সামনে রয়েছে মেহরাব, ৪৭ ফুট উচ্চতা ইমাম দাঁড়ানোর স্থান। এর পাশাপাশি রয়েছে ৫১টি গম্বুজ। এছাড়াও ৫১৬ ফুট দৈর্ঘেও ৩২টি আর্চ নিমার্ণ করা হয়েছে। প্রতিনি গম্বুজ ও মিনারে রয়েছে বৈদ্যুতিক বাতি। এবার প্রায় ৬ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করেছে। আগামিতে এই ঈদ গাহ মাঠে মুসল্লিদের জন্য নামাজ আদায়ের পরিধি আরো বাড়ানো হবে। উপরে সামিআনা ঠানানো হবে।
(এসএস/এসপি/মার্চ ৩১, ২০২৫)