ঢাকা, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

প্রচ্ছদ » শিল্প-সাহিত্য » বিস্তারিত

ছোট্ট গল্প

তিন পুরুষ ইঞ্জিনিয়ার    

২০২৫ মে ১৩ ১৭:৪৩:০১
তিন পুরুষ ইঞ্জিনিয়ার    

ফাত্তাহ তানভীর রানা


সদালাপী রাজীব একটি নামকরা কোচিং সেন্টারে ক্লাস নেয়। সেখানে ভবিষ্যৎ প্রকৌশলবিদ্যা অধ্যায়নে ইচ্ছুক এমন ভর্তিচ্ছুরা ক্লাস করে থাকে। রাজীব বুয়েটের ছাত্র, তার দেশ ফেনী। সপ্তাহে দুইদিন ক্লাস নিয়ে যা পায় তাতে হাত খরচ চলে যায়। রাজীবের সাইকোলজি আর ফিলোসফিতে খুব আগ্রহ।

সেদিন ছিল সোমবার; ক্লাসে রাজীব। সেটি সেই ব্যাচের প্রথম ক্লাস। ঢাকায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষার্থী আসে কোচিং করতে। ক্লাসের শুরুতে রাজীব সবার সাথে পরিচিত হচ্ছিল; পরিচিতি পর্ব প্রায় শেষের দিকেই।

এরপর রাজীব জিজ্ঞেস করলো তাদের মধ্যে কার কার বাবা অথবা মা ইঞ্জিনিয়ার। অনেকেই দাঁড়িয়ে বলা শুরু করলো তার বাবা কোথাকার ইঞ্জিনিয়ার এবং কোত্থেকে পাশ করেছে। এর ভেতর একটি মেয়ে বলে উঠলো তার বাবার নাম প্রকৌশলী মোঃ সাদাকাত হোসেন; তিনি পাবনা পলিটেকনিক্যাল থেকে পাশ করেছে।

: রাজীব তাকে থামিয়ে দিয়ে বললো, আচ্ছা তোমার বাবাতো ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার! তুমি তাকে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী কেন বললে না? কারো বাবা ডিপ্লোমা হওয়াটা তো আর অপরাধ নয়।

: ভাইয়া আমার বাবা বেসরকারীতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি হয়েছেন। আমার কোনো ভাই নেই আমার আব্বা চান আমি প্রকৌশলী হই। চান্স না পেলে তিনি আমাকে প্রাইভেটে ভর্তি করবেন। আমার দাদাজীকে এলাকার লোকে ইঞ্জিনিয়ার বলে ডাকত; আমার দাদা গ্রামের বাজারে রেডিও মেরামত করতেন। তিনি তার ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ার বানিয়েছেন। আমার আব্বাও. চান তিন পুরুষ

মেয়েটি আরো বলতে চাইছিল রাজীব তাকে কৌশলে বসতে বললো। বাকি যারা পরিচয় এখনো দেয়নি রাজীব তাদের নিবৃত করলো এই ভেবে যে আবার না কেউ বেফাঁস কথা বলে বসে। সমাজটার যে বেহাল দশা! সবাই নিজেকে বিভিন্ন রঙে উপস্থাপন করা নিয়ে ব্যস্ত !

প্রিয় ভর্তিচ্ছু ভাইবোনরা, আজ প্রথমদিন গল্পে গল্পে অনেক সময় চলে গেলো। চলো ক্লাস শুরু করা যাক। আজ আমি তোমাদের পড়াবো ফিজিক্স।