প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত
জুঁই হত্যার পুনরায় তদন্ত ও প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন
২০২৫ মে ১৫ ১৯:৩২:২৭
চাটমোহর প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহরে আলোচিত শিশু জুঁই হত্যার পুনরায় তদন্ত ও প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। গত বুধবার বিকেল ৫টায় বড়াইগ্রাম উপজেলার গাড়ফা উত্তরপাড়া এলাকায় ঘন্টাব্যাপি এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। জুঁই ওই গ্রামের প্রবাসী জাহিদুল ইসলামের মেয়ে। এরআগে এই হত্যাকান্ডের পর চাটমোহর থানায় একটি মামলা দায়ের হয় এবং পুলিশ এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, বড়াইগ্রামের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মাহবুব সরদার, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা নুহু ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন পাবনার নেতা কিবরিয়া হোসেন, স্থানীয় বাসিন্দা মামুন আল হাসান, জিয়াউর রহমান মাস্টার, পল্লী চিকিৎসক হাসান আলী, নিহত শিশু জুঁইয়ের মা মমিনা খাতুন, দাদী জহুরা খাতুনসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, শিশু জুঁই হত্যা মামলাটি ভিন্ন খাতে নেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। প্রকৃত আসামিদের আড়াল করা হচ্ছে। পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত পাঁচজনের মধ্যে সিয়াম ব্যতীত বাকি চারজন এই হত্যা মামলায় জড়িত নয় বলে মনে করছেন এলাকাবাসী ও জুঁইয়ের স্বজনরা। তাই শিশু জুঁই হত্যা মামলাটি পুনরায় তদন্ত করা এবং প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তারা।
প্রসঙ্গত: নিখোঁজের একদিন পর গত ১৫ এপ্রিল সকালে চাটমোহর উপজেলার রামপুর বিলে একটি ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে ৮ বছরের শিশু জুঁই খাতুনের বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার মুখে ছিল পোড়া ক্ষতবিক্ষত চিহ্ন। নিহত জুঁই বড়াইগ্রাম উপজেলার গাড়ফা উত্তরপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জাহিদুল ইসলামের মেয়ে ও গাড়ফা আজেদা নূরানী কিন্ডার গার্ডেন মাদ্রাসার শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। এ ঘটনায় নিহত জুঁইয়ের মা বাদী হয়ে চাটমোহর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এরপর গত ১৯ এপ্রিল জুঁই হত্যা রহস্য উদঘাটন ও হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পুলিশের কাছে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, ‘১৪ এপ্রিল, পহেলা বৈশাখের দিন গাঁজা সেবন করা এবং খারাপ মেয়ে নিয়ে এসে আনন্দ ফূর্র্তি করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু টাকা জোগাড় করতে না পারায় একটি আম বাগানে বসে গাঁজা সেবন করে তারা। এ সময় সেখানে আম কুড়াতে গেলে সাত বছর বয়সী শিশু জুঁই।
তাকে দেখে তাদের মনে পাশবিকতা জেগে ওঠে। শিশুটিকে ধরে নিয়ে যায় পাশের কলা বাগানে। এরপর সবাই মিলে পালাক্রমে ধর্ষণের পর জুঁইকে তার পড়নের প্যান্ট দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। শুধু তাই নয়, লাশটি যাতে পুলিশ বা অন্য কেউ চিনতে না পারে সেজন্য অ্যাসিড জাতীয় তরল পদার্থ দিয়ে শিশুর মুখ পুড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে।’
উল্লেখ্য, গত ২১ এপ্রিল সমকালে ‘শিশুটিকে ধর্ষণের পর ঘাড় মটকে নববর্ষ ‘উদযাপন’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিলো।
(এসএইচ/এসপি/মে ১৫, ২০২৫)