প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত
বাগেরহাটে বিএনপির দু‘গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪০
২০২৫ জুন ১০ ১৭:০১:৩৫.jpg)
সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার সিংগাতী গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু‘গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে। ঈদের দিন কোনবানীর মাংস বিতরণকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় বিএনপির এরশাদ চৌধুরী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুরুতর আহত আজিজুর রহমান চৌধুরী (৪০) ও মুরসালিন চৌধুরী (৩০) রাতে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। ঘন্টাব্যাপী ওই সংর্ঘষে নারীসহ আন্তত ৪০জন আহত হয়।
বিএনপির নিহত দুই কর্মী আজিজুর রহমান চৌধুরী উপজেলার সিংগাতী গ্রামের মোশারফ হোসেন চৌধুরীর ছেলে ও মুরসালিন চৌধুরী একই সিংগাতী গ্রামের এরশাদ চৌধুরী গ্রুপ প্রধান এরশাদ চৌধুরীর ছেলে। নিহতরা বিএনপির এরশাদ চৌধুরী গ্রুপের সদস্য। নিহতদের রবিবার সন্ধ্যায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে এরশাদ চৌধুরী গ্রুপের ৩০ জনকে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশংকাজনক। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির মাসুম চৌধুরী গ্রুপের আহত অপর ১০জন গ্রেফতার এড়াতে বাগেরহাট ও খুলনায় গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানাগেছে।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল আসলাম এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, সিংগাতী এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির মাসুম চৌধুরী গ্রুপের সাথে বিএনপির এরশাদ চৌধুরী সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কোরবানীর মাংস বিতারন নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষ বেঁধে যায়। ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংর্ঘষে নারীসহ দুপ্রুপেরই আন্তত ৪০জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৩০ জনকে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তির আজিজুর রহমান চৌধুরী ও মুরসালিন চৌধুরীর মৃত্যু হয়। নিহত দুইজন বিএনপির এরশাদ চৌধুরী গ্রুপের সমর্থক। বিএনপির দু‘গ্রুপের মধ্যে ফের সংর্ঘষের আশংকায় ঘটনার পর থেকে এলাকায় এলাকায় বিপুল সংখক পুলিশসহ আইন শৃংঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। দুজনের মৃত্যুর খবর পেয়েই প্রতিপক্ষ গ্রুপের মাসুম চৌধুরী গ্রুপের সদস্যরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তাদের আটকে একাধিক টিম কাজ করছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
(এস/এসপি/জুন ১০, ২০২৫)