ঢাকা, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

প্রচ্ছদ » পাঠকের লেখা » বিস্তারিত

রেমিটেন্স প্রবাসীদের নিঃশব্দ ভালোবাসার অর্থনৈতিক প্রতিচ্ছবি

২০২৫ জুন ১৫ ১৮:১৪:৪৯
রেমিটেন্স প্রবাসীদের নিঃশব্দ ভালোবাসার অর্থনৈতিক প্রতিচ্ছবি

ওয়াজেদুর রহমান কনক


প্রতি বছর ১৬ জুন বিশ্বজুড়ে পালিত হয় আন্তর্জাতিক পারিবারিক রেমিটেন্স দিবস। এই দিবসটি প্রথম পালিত হয় ২০১৫ সালে, জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থা (IFAD)-এর উদ্যোগে। এই দিবসের মূল লক্ষ্য হলো—বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি প্রবাসী শ্রমিক যাঁরা তাদের কষ্টার্জিত আয় পরিবারে পাঠিয়ে দেশে-বিদেশে অর্থনীতির চাকা সচল রাখছেন, তাঁদের অবদানকে সম্মান জানানো এবং রেমিটেন্স ব্যবস্থাকে আরও টেকসই ও সহনশীল করার প্রতি মনোযোগ বাড়ানো।

বিশ্বে প্রায় ২০০ কোটিরও বেশি মানুষ—প্রবাসী রোজগারদাতা ও তাঁদের পরিবার মিলিয়ে—রেমিটেন্সের ওপর নির্ভরশীল। বিশ্বব্যাপী রেমিটেন্স প্রবাহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতিতে এক বিশাল ভূমিকা পালন করে। একদিকে যেমন এটি পরিবারের জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক হয়, অন্যদিকে জাতীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রেমিটেন্স একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। দেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দিক থেকে রেমিটেন্স দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস, রপ্তানি আয়ের ঠিক পরেই এর অবস্থান। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলারের মতো রেমিটেন্স পেয়েছে, যা জিডিপির প্রায় ৬ শতাংশ। মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রবাসীরা এই অর্থ পাঠিয়ে থাকেন। গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত অসংখ্য পরিবার এই অর্থে শিক্ষার খরচ, চিকিৎসা ব্যয়, কৃষি বা গৃহনির্মাণের মতো কাজ পরিচালনা করে। ফলে এটি শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে নয়, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও বড় প্রভাব ফেলে।

তবে রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। উচ্চ হুন্ডি হারে অর্থ পাঠানো, অনিয়মিত ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সময় ও খরচ বেড়ে যাওয়া, প্রবাসীদের শ্রম ও জীবনের নিরাপত্তা হুমকিতে থাকা, অদক্ষতা ও তথ্যের অভাবে ভালো কাজের সুযোগ না পাওয়া—এসব সমস্যাও বিদ্যমান। ফলে ১৬ জুন শুধু উদযাপনের দিন নয়, এটি একটি সচেতনতার দিনও—যেখানে প্রবাসী শ্রমিকদের অধিকারের সুরক্ষা, সঠিক চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠানোর উৎসাহ এবং অভিবাসন ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার।

বাংলাদেশে এই দিবস উপলক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (IOM), IFAD এবং নানা বেসরকারি সংস্থা মিলে সেমিনার, আলোচনা, গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ এবং সামাজিক প্রচারণা চালিয়ে থাকে। এর মাধ্যমে পরিবার ও সমাজের মধ্যে রেমিটেন্স ব্যবহারে সচেতনতা বাড়ানো এবং প্রবাসী শ্রমিকদের অবদানকে যথাযথ মর্যাদা দেওয়ার কাজ হয়।

এই দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়—প্রবাসীরা শুধু অর্থ পাঠান না, বরং তাঁরা পরিবার, সমাজ ও দেশের জন্য একটি অদৃশ্য ভিত্তি তৈরি করেন। তাঁদের কষ্ট, আত্মত্যাগ ও ভালোবাসাকে সম্মান জানিয়ে রাষ্ট্রীয় নীতিমালায় যেন সঠিক প্রতিফলন ঘটে—এই হোক ১৬ জুনের মূল বার্তা।

প্রতি বছর ১৬ জুন বিশ্বব্যাপী পালিত হয় “আন্তর্জাতিক পারিবারিক রেমিটেন্স দিবস” (International Day of Family Remittances)। জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থা (IFAD) এই দিবসটি চালু করে ২০১৫ সালে, যার উদ্দেশ্য হলো বিশ্বের প্রায় ২০ কোটি প্রবাসী কর্মীর পরিবারে পাঠানো রেমিটেন্সের গুরুত্ব ও প্রভাব তুলে ধরা এবং এই অর্থনৈতিক প্রবাহকে আরও নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও টেকসই করার লক্ষ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা।

বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১২০টিরও বেশি দেশে এই দিবসটি পালন করা হয়, যার আওতায় পড়ে প্রায় ৮০০ কোটি মানুষ—প্রবাসী কর্মী এবং তাঁদের উপর নির্ভরশীল পরিবারগুলো। বিশ্বব্যাপী ২০২৩ সালে রেমিটেন্স প্রবাহের পরিমাণ ছিল প্রায় ৬৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার প্রায় ৭৫ শতাংশ এসেছে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো এর মধ্যে অন্যতম, যেখানে ভারত, চীন, মেক্সিকো, ফিলিপাইন এবং বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষ দশে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রেমিটেন্স একটি অবিচ্ছেদ্য অর্থনৈতিক ভিত্তি। দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের দিক থেকে রপ্তানি আয়ের পরেই রেমিটেন্সের অবস্থান। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ অর্থবছরে রেমিটেন্স এসেছে প্রায় ২১.৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। প্রতি মাসে গড়ে ১.৮ থেকে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ দেশে পাঠানো হয়। এই অর্থের বড় একটি অংশ আসে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, মালয়েশিয়া, কাতার এবং ওমানে কর্মরত বাংলাদেশিদের কাছ থেকে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS)-এর এক জরিপ অনুযায়ী, দেশের প্রায় ১ কোটি ২ লক্ষের বেশি মানুষ সরাসরি বা পরোক্ষভাবে রেমিটেন্সের উপর নির্ভরশীল। এই পরিবারগুলো রেমিটেন্স খরচ করে প্রধানত চারটি খাতে: খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা এবং আবাসন। একটি গবেষণা বলছে, গ্রামীণ এলাকায় রেমিটেন্সপ্রাপ্ত পরিবারের শিক্ষায় ব্যয় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি অন্যদের তুলনায়। এছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায় এই অর্থ ব্যবহার করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন, যার ফলে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হচ্ছে।

রেমিটেন্স জাতীয় অর্থনীতির ভারসাম্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে এই অর্থের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ যখন সংকটের মধ্যে পড়ে, তখন প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সই ছিল একমাত্র ইতিবাচক দিক, যা বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সহায়ক হয়।

তবে এই অর্থনীতির নায়করা—প্রবাসী শ্রমিকরা—বহু সমস্যার মুখোমুখি হন। অদক্ষতা, ভাষাগত অসুবিধা, দালালচক্রের প্রতারণা, অনিরাপদ কাজের পরিবেশ, স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং দেশে অর্থ পাঠাতে উচ্চ ফি এসব তাঁদের নিত্যদিনের বাস্তবতা। বিশ্বব্যাপী গড়ে রেমিটেন্স পাঠাতে প্রবাসীদের ৫-৭ শতাংশ পর্যন্ত ফি দিতে হয়, যা অনেক সময় আইনবহির্ভূত চ্যানেলের (হুন্ডি) দিকে ঠেলে দেয়। IFAD ও G20-এর লক্ষ্য হলো এই ফি কমিয়ে ৩ শতাংশের মধ্যে নিয়ে আসা।

বাংলাদেশ সরকার রেমিটেন্স পাঠানোর উৎসাহ দিতে ২০২০ সাল থেকে ২.৫ শতাংশ হারে প্রণোদনা প্রদান করছে, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৫,০০০ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করা হয়েছিল। তবে বৈধ চ্যানেলে অর্থ পাঠানোর হার এখনও শতভাগ হয়নি। ২০২২ সালের একটি গবেষণায় দেখা যায়, প্রায় ৩৫ শতাংশ প্রবাসী এখনও হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাঠাচ্ছেন, যা অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর।

১৬ জুন আমাদের মনে করিয়ে দেয়—প্রবাসীরা কেবল অর্থ পাঠান না, তাঁরা তাঁদের শ্রম, ঘাম, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্নতা এবং ত্যাগের বিনিময়ে একটি জাতির অগ্রগতি নিশ্চিত করেন। এই দিনটি শুধুই উদযাপন নয়, বরং এটি চিন্তার একটি দিন—প্রবাসীদের জন্য টেকসই অভিবাসন নীতি, দক্ষতা উন্নয়ন, নিরাপদ কর্মসংস্থান, সহজ রেমিটেন্স পাঠানোর পদ্ধতি এবং তাঁদের পরিবারকে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনার দিন।

রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে থাকেন রাশেদার মা, সালেহা বেগম। বয়স ষাট পেরিয়েছে। স্বামী মারা গেছেন বহু বছর আগে। তিন সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে রাশেদ প্রায় এক যুগ আগে সৌদি আরবে যান, একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের কাজ করতে। পড়াশোনা তেমন হয়নি, তবে সংসারের হাল ধরতে হয়েছে অল্প বয়সেই। প্রথমদিকে রাশেদের বিদেশযাত্রা ছিল দালাল নির্ভর এবং ঋণ করে সম্ভব হয়েছিল।

প্রথম দুই বছর রাশেদ ঠিকমতো রেমিটেন্স পাঠাতে পারতেন না। কখনো কাজে ছাঁটাই, কখনো বেতন আটকে রাখা, আবার কখনো অসুস্থ হয়ে পড়া—এইসব চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে ধীরে ধীরে একটি স্থিতিশীল অবস্থানে পৌঁছান তিনি। এখন মাসে গড়ে ৪০-৫০ হাজার টাকা পাঠাতে পারেন দেশের বাড়িতে।

এই রেমিটেন্স দিয়ে সালেহা বেগম ছোট ছেলেকে কলেজে পড়িয়েছেন। মেয়ে নাহিদার বিয়ে দিয়েছেন আত্মীয়তার ভেতর, দেনমোহর ও সামান্য যৌতুকসহ। এছাড়া, পাকা বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছেন ২০২৩ সালে। সবচেয়ে বড় অর্জন হলো, পরিবারের কারো আর ক্ষুধা নেই। ন্যূনতম চিকিৎসা সেবা, মৌলিক চাহিদা, শিক্ষার খরচ—সবই এখন রাশেদের পাঠানো অর্থেই চলে।

এই পরিবারের দৃষ্টান্ত প্রমাণ করে—রেমিটেন্স কেবল অর্থনৈতিক নয়, সামাজিক স্থিতিশীলতারও প্রতীক। রাশেদ যেহেতু বৈধ চ্যানেলে অর্থ পাঠান, তাই তিনি সরকার ঘোষিত ২.৫ শতাংশ প্রণোদনাও পান। ফলে পরিবারে মাসিক গড় আয় বেড়েছে, যা সঞ্চয় ও বিনিয়োগে সহায়ক হয়েছে। স্থানীয় একটি এনজিও থেকে সহায়তা নিয়ে সালেহা বেগম বর্তমানে একটি ক্ষুদ্র মুদি দোকান চালান, যার পুঁজি এসেছে মূলত প্রবাসী ছেলের পাঠানো অর্থ থেকে।

তবে এই গল্পের পেছনে দীর্ঘ আত্মত্যাগের ছাপ রয়েছে। রাশেদ এখনও বছরে একবারও দেশে আসতে পারেন না। তার সন্তানেরা বড় হচ্ছে সৌদিতে, যাদের সে দূর থেকে ভিডিও কলে দেখে। নিজের বাড়ির নির্মাণ কাজের দৃশ্য সে মোবাইলে দেখে চোখ মুছেন। এটাই একজন প্রবাসীর বাস্তবতা—নিজে দূরে থেকে, নিঃসঙ্গ থেকে পরিবারের হাসি নিশ্চিত করা।

এই একটি পরিবারই নয়, বাংলাদেশে লাখ লাখ পরিবার এমন রেমিটেন্সনির্ভর জীবনের গল্প বহন করে। এমন পরিবারগুলোতে রেমিটেন্স শুধু টাকার অঙ্ক নয়, বরং স্বপ্ন পূরণের একমাত্র সেতু। ১৬ জুন, আন্তর্জাতিক পারিবারিক রেমিটেন্স দিবস আমাদের এইসব অদৃশ্য নায়কদের কথা মনে করিয়ে দেয়, যাদের ঘাম মিশে আছে দেশের অর্থনৈতিক ভিতের প্রতিটি স্তম্ভে।

এই দিনটিকে কেন্দ্র করে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ, রেমিটেন্স ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি, নিরাপদ অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন হলে শুধু রাশেদের পরিবার নয়, পুরো দেশ লাভবান হবে। আর তখন রেমিটেন্স হবে শুধু টাকা নয়—হবে সম্মান, স্থিতি ও দেশের আত্মনির্ভরতার প্রতীক।

সে রওনা দিয়েছিল একরাশ স্বপ্ন, বুকভরা ভয় আর কাঁধে সংসারের বোঝা নিয়ে। বিমানবন্দরে মা শেষবার ছেলেকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, “ফিরে এসো সুখ নিয়ে, কিন্তু হারিয়ে যেও না কষ্টে।” আর সেই থেকেই শুরু হয় রাশেদের মতো হাজারো মানুষের নীরব যুদ্ধ—অপরিচিত দেশে, অপরিচিত ভাষায়, কাঁঠাল গাছের ছায়াহীন, শিকড়হীন প্রবাসজীবন। দিন চলে যায় ইট বহনে, রাতে ঘামে ভেজা বিছানায়। এই যন্ত্রণা থেকে জন্ম নেয় একটুকরো শান্তির পাঠানো অর্থ—যেটা দেশে পৌঁছে নির্মাণ করে ঘর, পাকা করে পথ, আলোকিত করে সন্তানের ভবিষ্যৎ।

রেমিটেন্স তাই শুধু একটি বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব নয়—এটা একেকজন রাশেদের জীবন-ত্যাগের দলিল, দেশের উন্নয়নের নিরব অনুঘটক। আন্তর্জাতিক পারিবারিক রেমিটেন্স দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, দেশের প্রতিটি ইটের নিচে রয়েছে প্রবাসীদের রক্ত, ঘাম আর অশ্রু। তাঁদের সম্মান, নিরাপত্তা ও স্বীকৃতি নিশ্চিত করাই হোক এই দিবসের বাস্তব প্রতিফলন।

তাই, এই ১৬ জুন শুধু একটি ক্যালেন্ডারের দিন নয়—এটা একটি দায়, একটি শ্রদ্ধা, একটি প্রতিশ্রুতি—যা আমরা সবাই মিলে পালন করি প্রতিদিন, হৃদয়ে ও রাষ্ট্রে।

লেখক : গণমাধ্যমকর্মী।