প্রচ্ছদ » দেশের বাইরে » বিস্তারিত
গুপ্তচরবৃত্তি থামাতে আরও কঠোর হতে যাচ্ছে ইরান
২০২৫ জুন ২৬ ১২:৩৫:১০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধ শেষে সোমবার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের জন্য কঠোর শাস্তি আরোপের পথে এগোচ্ছে ইরান সরকার।
জাতির উদ্দেশে এক লিখিত বার্তায় ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান এই যুদ্ধকে ঐতিহাসিক বিজয় বলে দাবি করেন এবং বলেন, ইরানিদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও বিভক্তি সৃষ্টির পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে।
এদিকে, ইরানের পার্লামেন্ট ও বিচার বিভাগ এমন কোনো কর্মকাণ্ড যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, তার বিরুদ্ধে আরও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে।
ইরানি পার্লামেন্ট একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে যেখানে জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থবিরোধী কার্যক্রমে ইসরায়েলি শাসকগোষ্ঠী ও শত্রু রাষ্ট্রগুলোর সহযোগীদের জন্য শাস্তি কঠোর করার কথা বলা হয়েছে।
পার্লামেন্টের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আলিরেজা সালিমি জানান, যেকোনো গোয়েন্দা বা গুপ্তচর কার্যক্রম কিংবা ব্যবহারিক পদক্ষেপ যা ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য শত্রু রাষ্ট্রের পক্ষে যাবে, সেগুলোকে প্রস্তাবিত আইনে “পৃথিবীতে দুর্নীতির বিস্তার” হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে এবং যেটির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।
এই আইন সেইসব ব্যক্তিদেরও শাস্তি দেওয়া যাবে যারা প্রাণঘাতী বা সন্ত্রাস ছড়াতে সক্ষম অস্ত্রের সঙ্গে জড়িত, অথবা যারা শত্রু রাষ্ট্রগুলোর সেবায় অর্থ, সম্পদ বা ক্রিপ্টোকারেন্সি গ্রহণ করেছে।
একজন আইনপ্রণেতার ভাষায়, এই বিল নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে আরও স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেবে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বিচার বিভাগের মুখপাত্র আসগার জাহাঙ্গির বলেন, বর্তমান গুপ্তচরবৃত্তি সংক্রান্ত আইন অনেক বেশি সাধারণ ধরনের এবং ইরান বর্তমানে যে ধরনের গুপ্তচর হুমকির মুখে রয়েছে, তা এতে সঠিকভাবে কাভার করা হয় না।
তিনি বলেন, বর্তমান আইনের কারণে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ চলাকালীন যেসব ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের শাস্তি দিতে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে।
তথ্যসূত্র : আল জাজিরা
(ওএস/এএস/জুন ২৬, ২০২৫)