প্রচ্ছদ » কৃষি » বিস্তারিত
ফরিদপুরের 'সোনালী আঁশ' শুধু জেলার পরিচিতিই নয়, কৃষকদের জীবন-জীবিকারও প্রতীক
২০২৫ জুন ২৭ ২০:২২:১৭
দিলীপ চন্দ, ফরিদপুর : 'সোনালী আঁশে ভরপুর ভালোবাসি ফরিদপুর'-এই স্লোগানের মতোই ফরিদপুর জেলা পাট চাষের মাধ্যমে দেশের শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে। এ বছর ফরিদপুরে পাটের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৮৬,৫৩১ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে, যা নির্ধারিত লক্ষ্য ৮৬,৫২৫ হেক্টরের চেয়ে সামান্য বেশি। ফরিদপুরের মাটি পাট চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় এবং আবহাওয়া অনেকটা অনুকূলে থাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বাম্পার ফলনের আশা করছে।
ফরিদপুরে এবার পাটের ফলন সামগ্রিকভাবে অত্যন্ত সন্তোষজনক এবং বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, কিছু নিম্নাঞ্চলের জমিতে বৃষ্টির পানি দীর্ঘসময় জমে থাকায় পাটের আকার প্রত্যাশিত মাত্রায় বৃদ্ধি পায়নি, যা সীমিত পরিসরে ফসলের ক্ষতির কারণ হয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও জেলার অধিকাংশ এলাকায় পাটের ফলন ভালো হয়েছে, যা কৃষকদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। এইদিকে, কৃষকরা পাটের ন্যায্য দাম নিয়ে উদ্বিগ্ন। বীজ, জৈব ও রাসায়নিক সার, কীটনাশক এবং শ্রমিকদের মজুরির মূল্যবৃদ্ধি উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে তাদের লাভের সম্ভাবনা কমিয়ে দিচ্ছে। তারা সরকারের কাছে ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা এবং বীজ, সার ও কীটনাশকের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শাহাদুজ্জামান বলেন, "পাট উৎপাদনে ফরিদপুর সবসময়ই শীর্ষে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে পাটের আবাদ হয়েছে। আমরা আশা করছি, বাম্পার ফলন হবে।"
কৃষকরা মনে করেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা এবং ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা গেলে পাট চাষের সম্ভাবনা আরও বাড়বে। ফরিদপুরের 'সোনালী আঁশ' শুধু জেলার পরিচিতিই নয়, কৃষকদের জীবন-জীবিকারও প্রতীক। সঠিক নীতি ও সহায়তা পেলে এই ঐতিহ্য আরও সমৃদ্ধ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
(ডিসি/এএস/জুন ২৭, ২০২৫)