ঢাকা, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২

প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত

ফরিদপুরে বিসমিল্লাহ গ্রুপের একটি নতুন ফ্যাক্টরিতে যৌথ বাহিনীর অভিযান, জরিমানা

২০২৫ জুন ২৯ ১৫:১৮:২০
ফরিদপুরে বিসমিল্লাহ গ্রুপের একটি নতুন ফ্যাক্টরিতে যৌথ বাহিনীর অভিযান, জরিমানা

রিয়াজুল রিয়াজ, বিশেষ প্রতিনিধি : ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুরে বিসমিল্লাহ গ্রুপের একটি শিশু খাদ্য তৈরির নতুন কারখানায় অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ যৌথ অভিযানটি চালানো হয়।

এ সময় ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জাহান এর নেতৃত্বে একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। মেসার্স শাহী ফুড প্রোডাক্টস নামের বিসমিল্লাহ গ্রুপের ওই নতুন প্রতিষ্ঠানের এডিবল জেল পণ্য ও চিপস পণ্যের বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ব্যাতিত উৎপাদন, মোড়ক ও বাজারজাত করায় 'ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন' এর ৪২ ও ৪৩ ধারা মোতাবেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটিকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়। অভিযানটি ফরিদপুরে কর্মরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, সদর উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও বিএসটিআইয়ের যৌথ পরিচালনায় ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার একটি মোবাইল কোর্ট হিসেবে পরিচালিত হয়েছে।

উপস্থিত গণমাধ্যমকে দেওয়া সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং এ ফরিদপুর সদর উপজেলা এসব অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ইউএনও ইসরাত জাহান।

এদিকে, এ অভিযানের বিষয়ে বিসমিল্লাহ গ্রুপের স্বত্বাধিকারী মো. নুরুল ইসলাম বিশ্বাস 'দৈনিক বাংলা ৭১'কে জানান, 'কয়েকমাস হলো এই ফ্যাক্টরিটি যাত্রা শুরু করেছি। পণ্যের মান ঠিক রেখে আমরা প্রাথমিক প্রোডাকশনে সবে গিয়েছি। বিসমিল্লাহ গ্রুপের এই নতুন কারখানার প্রোডাকশনে যেতে প্রয়োজনীয় সরকারি দপ্তরগুলোর প্রায় সব কাগজপত্রই আমার আছে! যেগুলো নেই বা যেগুলো বাকী আছে সেগুলোও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা আছে। বিএসটিআই সহ সরকারের কয়েকটি দপ্তরের অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিলাম।' এখনও বাজারজাত শুরু করেনি জানিয়ে নুরুল আরো জানান, কিছুকিছু পণ্যের মান ঠিকঠাক রেখে আমরা পরীক্ষামূলক প্রোডাকশনে গিয়েছিলাম মাত্র।'

নিজের ভুল স্বীকার করে নুরুল ইসলাম আরও জানান, 'সরকারি সব কাগজপত্র ঠিকঠাক মতো পেলে আমরা সরকারের কাছে আবেদন করবো ফ্যাক্টরিটি খুলে দিতে। নুরুল জানান, আমার এই নতুন কোম্পানিটি প্রোডাকশনে আসলে দেশি ও আন্তর্জাতিক মান বিবেচনা করে এই প্রোডাক্টগুলো তৈরি করা হবে। ভবিষ্যতে এসব বিতর্কের উর্ধ্বে থেকে সতর্ক থাকবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বিশ্বাস। তিনি আরো বলেন, এই ফ্যাক্টরি বন্ধ হওয়ায় প্রায় শতাধিক শ্রমিকের কর্মসংস্থান হুমকিতে পড়ে গেলো। গরীব শ্রমিকদের দিকে তাকিয়ে হলেও সরকার আমার বন্ধ হওয়া ফ্যাক্টরিটি তাঁদের নীতিমালা ও নিয়ম কানুন ঠিকঠাাক করত: আবেদনকৃত কাগজপত্রগুলো যথাসম্ভব দ্রুত অনুমোদন দিবেন বলে আশা প্রকাশ করছি।' এসব বিষয়ে বিএসটিআইসহ অন্যান্য সরকারি দপ্তরের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন বিসমিল্লাহ গ্রুপের স্বত্বাধিকারী মো. নুরুল ইসলাম বিশ্বাস। অভিযানে এ সময় ভোক্তা অধিকার ও জেলা খাদ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবে উপস্থিত মো. বজলুল রশিদ খান ও মাহবুবুর রহমান, বিএসটিআইয়ের পক্ষ থেকে অমলেন্দু বাড়ৈ, সহকারী পরিচালক (রসায়ন) ও খালিদ হাসান, পরিদর্শক (মেট), বিএসটিআই, ফরিদপুর উপস্থিত ছিলেন।

(আরআর/এএস/জুন ২৯, ২০২৫)