প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত
মসজিদ কমিটির কথা না রাখার অভিযোগে কালিগঞ্জের ইছাপুরের রথযাত্রার প্যান্ডেলে হামলা, ভাংচুর
২০২৫ জুন ২৯ ২৩:৩৭:১৪
রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : নামাজ চলাকালিন মাইক বাজানোর অভিযোগে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের ইছাপুর রথযাত্রার প্যান্ডেলে হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়েছে। হামলাকারিরা স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির কাছের লোক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি।
ইছাপুর গ্রামের লালু সরকার ও ইন্দ্রানী বসাক জানান, শুক্রবার রথযাত্রা উপলক্ষে বিকেল ৫টায় ইছাপুর রথখোলা থেকে র্যালী বের হয়। র্যালীটি সাড়ে ছয়টার দিকে নলতা কালীবাড়িতে যেয়ে শেষ হয়। পার্শ্ববর্তী পাঞ্জেগোনা মসজিদ থেকে রাত সাতটা ১০ মিনিটের পর মাইক বাজানোর কথা বলা হয়। সে অনুযায়ি রাত সাতটা ১৭ মিনিটে ডেকরেটর মালিক নাঈম মাইক বাজাচ্ছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর ইছাপুর গ্রামের সরবতের ছেলে মনি, একই গ্রামের আক্তারুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল ইসলাম ও কাজলা গ্রামের সরবতের ছেলে বাবুর নেতৃত্বে কয়েকজন মসজিদ কর্তপক্ষের নির্দেশনার বাইরে যেয়ে মাইক বাজানোর অভিযোগে রথযাত্রার প্যান্ডেলে হামলা ও ভাংচুর চালায়। হামলায় চারটি চেয়ার ভাংচুর করা হয়। মাইক ভাংচুর করতে গেলে বাধা দেওয়ায় নাঈমকে পিটিয়ে জখম করা হয়। বিষয়টি নলতা ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়। হামলাকারিরা সকল্রেি চেয়ারম্যানের কাছের লোক বলে পরিচিত।
তারা আরো জানান, বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান সাহেবের শালিস করার কথা ছিল শনিবার সকাল ১১টায়। কিন্তু চেয়ারম্যান না আসায় শনিবার দুপুর ১২টার দিকে কাজলা -ইছাপুর যুব সংঘের পাশে জামাত আলী বিশ্বাসের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শালিসি বৈঠক হয়। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান কল্যান ঐক্য ফ্রণ্টের জেলা কমিটির নেতা মিলন সরকার ওই বৈঠক পরিচালনা করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইছাপুর রথযাত্রা পরিচালনা কমিটির সভাপতি অমিয় বসাক ও সাধারণ সম্পাদক গুরুদাস বসাক। বৈঠক শুরুর একপর্যায়ে হামলাকারিরা ক্ষমা চান। এরপরপরই মিলন সরকার রথযাত্রা আয়োজক কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে জানতে ডান তাদের আর কোন কিছু বলার আছে কিনা। একপর্যায়ে বৈঠক শেষ হয়ে যায়। তবে রথযাত্রায় প্যান্ডেলে হামলার ঘটনাটি রথযাত্রা আয়োজক কমিটি যেন তেন প্রকারে মিটিয়ে নিওয়ায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন ক্ষুব্ধ হন।
(আরকে/এএস/জুন ২৯, ২০২৫)