প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত
ফরিদপুরে নকল ঔষধ কোম্পানিতে যৌধ বাহিনীর অভিযান; জেল, জরিমানা, সিলগালা
২০২৫ জুলাই ০৭ ০০:৪৯:৫১
রিয়াজুল রিয়াজ, বিশেষ প্রতিনিধি :ফরিদপুরে কর্মরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন আজমাইন (১৫ আর ই ব্যাটালিয়ান) এর নেতৃত্বে একটি নকল ঔষধ কোম্পানিতে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
রবিবার (৬ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা এই অভিযানে নকল ঔষধ, শ্যাম্পু, লোশন, সাবান প্রভৃতি নকল সামগ্রী এবং ওসব তৈরীর সরঞ্জামাদি জব্দ করার পাশাপাশি কোম্পানিটিকে সিলগালা করে দিয়েছেন ওই যৌথ অভিযানে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। ফরিদপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রাব্বি'র নেতৃত্বে চলা ওই ভ্রাম্যমাণ আদালতে ওই কোম্পানিতে নকল ঔষধ ও নকল প্রসাধনী তৈরি ও বাজারজাত করার কাজে জড়িত থাকার অপরাধে মো. মিরাজ শিকদার পিতা- হারুন সিকদার নামের একজনকে ১ মাসের কারাদণ্ড, এবং ফারজানা বেগম পিতা- মোশারফ মিয়া নামক একজনকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, রবিবার (৬ জুলাই) সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন আজমাইন (১৫ আর ই ব্যাটালিয়ান) এর নেতৃত্বে পশ্চিম খাবাসপুর এলাকায় একটি ঔষধ কোম্পানিতে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করা হয়।
স্থানীয় গোপন সূত্রে থেকে অভিযোগ পাওয়া যায় যে মাহমুদুল হাসান (৩২) নামে একব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবত তার কোম্পানিতে বিভিন্ন ধরনের নকল ঔষধ, শ্যাম্পু, লোশন, সাবান প্রভৃতি তৈরি করে আসছে। ওসব ঔষধ সেবন ও প্রসাধনী ব্যবহার মানব জীবনে প্রাণহানি সহ উচ্চ ক্ষতির আশংকা রয়েছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত অভিযান চালায় সেনা বাহিনী। কিন্তু অভিযানে প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তি তথা ওই অবৈধ কোম্পানিটির মালিক মাহমুদুল হাসানকে পাওয়া যাইনি। অভিযানে কোম্পানির ২২টি প্রোডাক্ট পাওয়া যায় যার বেশিরভাগই ঔষধ। তবে, এ বিষয়ে কোন প্রকার বৈধ কাগজপত্র বা ডুকুমেন্ট পায়নি সেনাবাহিনী। উদ্ধারকৃত প্রোডাক্টগুলোর ওপর চালানো তাৎক্ষণিক তদন্তে দেখে ওই কোম্পানিতে উৎপাদিত সবগুলো ঔষধ ও প্রসাধনীই নকল। সেই সাথে তারা জানতে পারেন, দণ্ডিত মিরাজ আহমেদ ও ফারজানা বেগম ই কোম্পানির সকল কাজ দেখভাল করে থাকেন।
পরবর্তীতে ফরিদপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রাব্বি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মিরাজ আহমেদকে ১ মাসের জেল ও ফারজানাকে নগদ দশ হাজার টাকা জরিমানা সহ কোম্পানির সমস্ত ঔষধ ও অন্যান্য প্রোডাক্ট সমুহ জব্দ করেন কোম্পানিটি সীল করে দেন।
এছাড়া, সোমবার (৭ জুলাই) সিজার লিস্ট অনুযায়ী ওই নকল ঔষুধ কোম্পানিটির মালিক মাহমুদুল হাসান এর নামে এ বিষয়ে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে। ওসব নকল ঔষধ ও নকল প্রসাধনী তৈরির মুলহোতা মাহমুদুল হাসান ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চর আরিয়াল খাঁর হাট এলাকার রহমত উল্লাহ মাতুব্বর কান্দি গ্রামের মো. আজিজ মিয়ার পুত্র বলে জানা গেছে।
(আরআর/এএস/জুলাই ০৭, ২০২৫)