ঢাকা, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত

ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম নিখোঁজ, ৭ দিনেও মেলেনি সন্ধান

২০২৫ জুলাই ০৭ ২৩:৩৩:০৯
ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম নিখোঁজ, ৭ দিনেও মেলেনি সন্ধান

কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি : কেন্দুয়া উপজেলার ৫নং গন্ডা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শামিম নিখোজ হয়েছেন। গত ২ জুলাই গন্ডা ইউনিয়নের পাহারপুর এলাকা থেকে তিনি নিখোঁজ হন। নিখোঁজের ৭ দিনেও তাঁর সন্ধান মেলেনি। এ ঘটনার পর থেকে পরিবারের সদস্যরা আতংক উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

জানা যায়, গত ২ জুলাই বুধবার রাত অনুমান সাড়ে ১১ টার দিকে গন্ডা ইউনিয়নের পাহাড়পুর এলাকা থেকে নিখোজ হন রফিকুল ইসলাম শামিম। তাঁর বয়স অনুমান ৩৯ বছর। তিনি ১ ছেলে সন্তানের জনক। তার স্ত্রী নাজমা আক্তার অন্তসত্তা বলে জানা যায়। নিখোজ হওয়ার পর গত ৩ জুলাই তাঁর বড় ভাই মো: সাইফুল ইসলাম কেন্দুয়া থানায় একটি জিডি করেন। জিডি নং- ১৪২। এর পর পুলিশ রফিকুল ইসলাম শামিমের সন্ধানে মাঠে নামে।

গত ৫ জুলাই রাত অনুমান ১০ টার দিকে গন্ডা ইউনিয়নের মনকান্দা ও গৈচাশিয়া গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া শামুকজানি নদীর উপর ব্রীজের নিচ থেকে রফিকুল ইসলাম শামিমের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।

কেন্দুয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: নজরুল ইসলাম সোমবার দুপুরে জানান, তল্লাশি চালিয়ে শামুকজানি নদীর উপর নির্মিত ব্রিজের নীচ থেকে কচুরিপানা দিয়ে ঢাকা একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। ওই মটর সাইকেলটি রফিকুল ইসলাম শামিম ব্যবহার করতেন বলে তার পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন।

তিনি বলেন, রফিকুল ইসলামের এখনও কোন সন্ধান করতে পারিনি। তবে চেষ্টা চলছে। তাঁর বড় ভাই মো: সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম শামিম গন্ডা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিল। সমাজের বিভিন্ন অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করত সে। আমার ধারণা এজন্য আমার ভাইকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করে তাঁর লাশ গুম করা হয়েছে। আমার ভাইয়ের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। কিন্তু আমার ভাইয়ের এখনও কোন সন্ধান করতে পারেনি। আমি রাষ্ট্রের কাছে আমার ভাইকে উদ্ধারের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন ভূঞার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা দলীয় নেতাদের নিয়ে গন্ডা ইউনিয়নের রফিকুল ইসলাম শামিমদের বাড়িতে এসেছি। তাদের পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দিচ্ছি। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা রফিকুল ইসলাম শামিমের খোজ না পেয়ে আতংক উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তারা রফিকুল ইসলাম শামিমকে খোজে বের করার জন্য রাষ্ট্রের কাছে সব্বোর্চ সহযোগিতা চাচ্ছেন।

কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, রফিকুল ইসলাম শামিমের সন্ধানে মাঠে নেমেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে তাঁর ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তার সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি।

(এসবিএস/এএস/জুলাই ০৭, ২০২৫)