প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত
সড়ক দুর্ঘটনায় যশোরের একই পরিবারের তিনজন নিহত
২০২৫ ডিসেম্বর ২৭ ১৯:৩৬:১৭
যশোর প্রতিনিধি : যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় মণিরামপুরের একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা সম্পর্কে আপন ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। আজ শনিবার সকালে ফরিদপুরের ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মুনসরাবাদ এলাকায় একটি ট্রাকের সঙ্গে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা ইউনিয়নের রাজগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্দা রহমতউল্লাহর ছেলে সাকিবুর রহমান নিশান (২৩), মেয়ে নীলা খাতুন (২৫) এবং নীলার স্বামী মিজানুর রহমান (৩৫)। মিজানুর রহমান কেশবপুর উপজেলার ভাল্লুকঘর এলাকার বাসিন্দা এবং একটি বেসরকারি ঋণদান প্রতিষ্ঠানের শাখা ব্যবস্থাপক ছিলেন। আহত দুজন হলেন যশোর পৌরসভার ধর্মতলা এলাকার কৃষ্ণ রায় ও কেশবপুর উপজেলার চালতী বাড়ি গ্রামের বিউটি।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মিজানুর রহমান প্রায় এক মাস আগে ব্রেন স্ট্রোক করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। যশোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও অবস্থার অবনতি হলে শনিবার সকালে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হচ্ছিল। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সে তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী নীলা ও শ্যালক নিশান।
প্রতিবেশী হেলাল উদ্দিন জানান, ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী নীলা এবং শ্যালক নিশান ঘটনাস্থলেই মারা যান।
নিহত নীলা ও মিজানুর রহমান দম্পতির ৬ ও ৪ বছর বয়সী দুই সন্তান রয়েছে। অন্যদিকে, নিশানের সংসারে রয়েছে কয়েক মাস আগে বিয়ে করা নববধূ। এই মর্মান্তিক ঘটনায় রাজগঞ্জ বাজার এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের বাড়িতে চলছে হৃদয়বিদারক মাতম।
হেলাল উদ্দিন আরও জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সকালে নিহতদের স্বজনরা লাশ আনতে ফরিদপুরের ভাঙ্গার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছাননি।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বজনরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর আইনানুগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রজিউল্লাহ খান বলেন, ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মণিরামপুরের তিনজন নিহত হওয়ার বিষয়ে থানায় এখনো কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। তবে নিহতদের পরিবার কোনো আইনি সহায়তা চাইলে পুলিশ সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।
(এসএ/এসপি/ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫)
