ঢাকা, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত

শরীয়তপুরে কমরেড শান্তি সেনের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

২০১৭ জানুয়ারি ৩১ ১৮:৫৯:৪৭
শরীয়তপুরে কমরেড শান্তি সেনের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত


শরীয়তপুর প্রতিনিধি : বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, বাংলাদেশ সাম্যবাদি দলের প্রতিষ্ঠাতা বিপ্লবী কমরেড শান্তি সেনের ২৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার রামভদ্রপুর গ্রামে কমরেডের নিজ বাড়িতে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে তাকে স্মরণ করা হয়।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় রামভদ্রপুর রেবতী মোহন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একটি শোক শোভাযাত্রা নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মীরা শান্তি সেনের স্মৃতি স্তম্ভে যান। সেখানে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনার পরে কমরেডের স্মৃতি বেদীতে পূষ্পার্ঘ দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এসময় রেবতী মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি, সাম্যবাদী দল, কমিউনিষ্ট লীগ ও কমিউনিষ্ট যুব আন্দোলনের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কমরেড শান্তি সেন ১৯১২ সারের ১২ ফেব্রুয়ারী জন্ম গ্রহন করেন এবং ১৯৮৮ সালের ৩১ জানুয়ারী সুদীর্ঘ লড়াই সংগ্রামে অনবদ্য অবদান রেখে দেহ ত্যাগ করেন। তিনি ১৪ বছর বয়স থেকে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন। যুগান্তর, অনুশীলন দলের তিনি একজন স্বক্রীয় কর্মী ছিলেন। শান্তি সেন স্বদেশী ও তেভাগা আন্দোলনে অংশ নিয়ে নিয়ে বিপুল সাহসিকতার সাক্ষর রেখে গেছেন। ১৯৪৩ সালের দূর্ভিক্ষের সময় বিপ্লবী পন্থায় অর্থ ও খাদ্য সংগ্রহ করে বুভুক্ষ মানুষের পাশে দাড়ান। তিনি ১৯৭২ সালে সাম্যবাদি দল গঠন করেন। এছাড়াও ভারত বর্ষে কমিউনিষ্ট আন্দোলন বিভক্ত হয়ে পরলে শান্তি সেন পিকিং পন্থী কমিউনিষ্ট পার্টির সাথে রাজনীতি করেছেন।

শান্তি সেনের পুত্র কমরেড চঞ্চল সেন গুপ্ত বলেন, আমার বাবা তার বিপ্লবী জীবনে শরীয়তপুরের চরাঞ্চলের কৃষকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করেছেন। ৪৩ সালের দূর্ভিক্ষের সময় ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে দু’মুঠো ভাত তুলে দিতে অনেক সাহসী ভূমিকা রেখেছেন। এদেশে যখন কলেরা ডায়রিয়া মহামারি আকার ধারণ করতো তখন বাবা চ্যারিটারি ডিসমেচারি খুলে মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেন। তিনি রেবতী মোহন উচ্চ বিদ্যালয়কে বিলুপ্ত হওয়ার পথ থেকে উদ্ধার করে পূনর্গঠন করেছেন।

(কেএনআই/এএস/জানুয়ারি ৩১, ২০১৭)